বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশে বললেন, দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার। এ বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না।
শামসুজ্জামান দুদু আরও যোগ করে বলেন, এই সরকার গঠন হয়েছে সাত মাস চলে। এই সাত মাসে কোনো সংস্কার তারা করতে পারেনি। এমনকি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে রকম ছিল এখনো সে রকম আছে। হাসিনার আমলে মামলা হয়েছে। গুম-খুন হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো এই সরকার এখনো প্রত্যাহার করেনি। হাসিনার সঙ্গে এই সরকারের যে পার্থক্য থাকার কথা। মামলা প্রত্যাহার না করার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যায়। হাসিনার একটি কাজের স্বীকৃতি এ সরকার পরোক্ষভাবে হলেও দিয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। ড. ইউনূসের নামে যে মামলাগুলো ছিল তিনি ক্ষমতায় আসার পর সব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, যার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে; গুম, খুন হয়েছে তেমনি মামলার শিকার হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহার করার উচিত ছিল।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। আইন-আদালত ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছিল। সে সময়ও আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না। এখনো মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কোনো নির্জন জায়গায় একা গেলে তার ওপর গুলি করা হচ্ছে, ছিনতাই করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল আমি পার্থক্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলবো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য। যদি না করতে পারে তাহলে এখনো তাদের যে জনপ্রিয়তা আছে তা শূন্যের কোটায় নেমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতি এদেশের জনগণ ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। কিন্তু কাজের কাজ না করলে মানুষ সমর্থন প্রত্যাহার করতে বিন্দু পরিমাণ সময় নেবে না। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে যাতে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।