দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে প্রাচীন আমলের রহিম শাহ ভান্ডারী বাবার মাজার পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ তৌহিদি জনতা। এ সময় মাজার থেকে পালিয়ে গেছে মাজারের খাদেম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তরা। রাতেই ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম,হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ,ন,ম নিয়ামতউল্লাহ,ও,সি নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা সাজ্জাদ হোসেন মাজার থেকে একটি সিন্দুক উদ্ধার করেন। স্থানীয় ভান্ডারী কর্তৃক কুরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধায় সাড়ে ৫টায় ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে শত শত তৌহিদি জনতা হাতে লাঠি ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিশিল সহকারে বিরাহিমপুরে ভান্ডারীর মাজারে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগে অংশ গ্রহন করে। এ সময় ভক্তরা দিকবিদিক পালিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা মাজার এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও ওরসের নামে গান বাজনা খাবার আয়োজনসহ বিভিন্ন সামগ্রী গুড়িয়ে দেয় ও অগ্নি সংযোগ করে। স্থানীয় বাসিন্দা কবিরুল ইসলাম জানান, কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কাজসহ নারী পুরুষ একত্রে হয়ে গানবাজনা ও ভন্ডামী করে। স্থানীয় মুসল্লীরা জানান, ইতিপুর্বে আমরা মাজারে অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য মিশিল ও গনসমাবেশ করেছি। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ও,সি ও উর্দ্ধতন বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহন করি। এ ব্যপারে ঘোড়াঘাট থানা ও,সি নাজমুল হক জানান, জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ইউ,এন,ও মহোদ্বয়ের সাথে আলোচনা করেছি। গতকালের ঘটনা অনাকাংখিত, কোন একটি মহল থানা ঘেরাও এর কথা প্রচার করলে আমি নিরাপত্তা জোরদার করি । এ ছাড়ার এলাকার জনসাধারন থানা গেটে পাহারা দেয়। অগ্নি সংযোগ ভাংচুরকৃত মাজারে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য সাদা পোষাকের পুলিশসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনি মোতায়েনে করা হয়েছে। মাজার কর্তৃপক্ষ থানায় এখনো কোন প্রকার জিডি বা অভিযোগ করেনি।