ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গুরূত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়কের উপর চলছে পশু জবাই ও কাটার কাজ। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে মুসল্লি, পথচারী ও বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের। পাশেই গড়ে উঠেছে বিশাল আকৃতির ময়লার ভাগাড়। দিনরাত দূর্গন্ধে অতিষ্ঠি জনজীবন। নাক চেপে আসা যাওয়া করছেন শিশু ও রোগীসহ লোকজন। উপজেলা সদরের বিকাল বাজারের মলিহাটা এলাকায় এই দূর্ভোগ দীর্ঘদিনের। অথচ সড়ক সংলগ্ন বাজারের ভেতরে পশু জবাই কাটা ও বিক্রির জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণ করা আছে বিশাল আকৃতির শেড। গত তিন বছর ধরে সরকারী জায়গায় দেদারছে ময়লা ফেললেও সংশ্লিষ্টরা কেন যেন নীরব। প্রতিবাদ করে গতকাল শনিবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক মুসল্লি।
সরজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সরাইল উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসকের চত্বর ঘেষা সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সরকারি খালটি দূষণ ভরাটের কারণে এখন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। যেখান থেকে সরাইল ও পানিশ্বরের লোকজন নৌকায় উঠতো সেখানকার চিহ্নও নেই। সরকারি খালটি গত তিন বছর ধরে বাজার ও আশপাশের লোকজন ইচ্ছেমত ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করেছে। অনেকে দখলের পায়তারাও করছেন। গরূর বিষ্টা (গোবর), মরা মোরগ, কলার ছড়া, নষ্ট বা পঁচে যাওয়া তরকারিসহ বিভিন্ন ধরণের ময়লা ফেলে জায়গাটিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। সবকিছু পঁচে চারিদিকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে দিনরাত। জায়গাটির আশপাশের একটি মাধ্যমিক, ২টি প্রাথমিক ও ১টি মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীকে এই জায়গাটি ঘেষে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীরা সকালে ও বিকেলে নাক চেপে ধরে অনেক কষ্টে জায়গাটি পার হয়। আশপাশের বাসিন্দারা ময়লার বিশ্রি গন্ধে অতিষ্ঠ। মশা মাছি ও দূর্গন্ধের মাধ্যমে দিন ছড়িয়ে যাচ্ছে রোগ জীবাণু। ওই এলাকার বাসিন্দা প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মো. শফিকুল ইসলাম সেলু ও মো. মজিল হক বলেন, আরিফাইল হালুয়াপাড়া ও মোগলটুলা গ্রামের সহস্রাধিক নারী পুরূষের যাতায়তের এই সড়কের উপর ভোরে এক শ্রেণির লোক মহিষ/গরূ জবাই করে। সড়কের উপরই কাটে। ফজরের নামাজে যাতায়তকারী মুসল্লিরা পড়েন বেকায়দায়। রক্ত শুকিয়ে সকালে দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। আরেক শ্রেণির লোক বাজারের পশ্চিম পাশের সরকারি খালকে ময়লার ভাগাড় বানিয়েছেন। দুর্গন্ধে পশ্চিম দিকে যাওয়াই মুশকিল। এখানকার বাসিন্দা ও ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এমন দূর্বীসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম, নিজসরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) শেফালি ওয়াস্তি বলেন, ময়লার দূর্গন্ধ আমার শিশু শিক্ষার্থীসহ সকলের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি করছে। বিকাল বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া বলেন, বাজারের পশ্চিম পাশের ময়লা আবর্জনা আমরা মাঝেমধ্যে পরিস্কার করি। সড়কের উপর পশু জবাই করবে কেন? খোঁজ খবর নিয়ে বিষয় গুলো দেখব।