পাংশায় গড়াই পাড়ের মানুষ কুমির আতঙ্কে

এফএনএস (এম.এ. জিন্নাহ; পাংসা, রাজবাড়ি) : | প্রকাশ: ৪ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
পাংশায় গড়াই পাড়ের মানুষ কুমির আতঙ্কে

এক মাসেরও অধিক সময় ধরে গড়াই নদীর পাংশা উপজেলার কেউয়া গ্রাম এলাকায়  নদীতে ঘুরছে কুমির। কখনো একটা, কখনো এক সাথে তিন থেকে চারটা কুমির ভাসছে নদীতে। কুমির দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করছে স্কুলের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসীসহ দূর দূরান্তের উৎসুক মানুষ। অন্যদিকে  কুমির আতঙ্কে দিন কাটছে গড়াই নদীর দুই পাড়ের মানুষের।

দীর্ঘদিন ধরে গড়াই নদীতে কুমির ভাসলেও পরিষ্কার  হওয়া যাচ্ছিল না এটা কুমির কিনা। ৩ মার্চ সোমবার  ফরিদ নামের এক যুবক ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে অপেক্ষা করেন কসবা মাজাইল ইউপির কেউয়াগ্রাম এলাকার মোহনের ঘাটের তীরে। এদিনই বিকেলে দেখা মেলে কুমিরের। ড্রোন ক্যামেরায় দেখা যায় অনেক বড় সাইজের একটি কুমির। খবরের সাথে সাথে এলাকার উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। কুমির দেখতে আসা পাশের বড় কোলা গ্রামের সুমন জোয়ারদার বলেন, ক্যামেরা ছাড়াই কুমির দেখা যাচ্ছিল পরিষ্কার। গড়াইপাড়ের মানুষের গড়াই নদীর পানিই হল সম্বল। গোসল, জামা কাপড় ধোয়া সহ নদী পাড়ের মানুষের সব নির্ভর নদীর পানিতে। কিন্তু দীর্ঘদিন মানুষ কুমিরের ভয়ে নদীতে নামতে পারছে না। আমরা দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা চাই। 

এলাকাবাসীর অনুমান, কুমির বন্যার সময় এসে এখানে আটকে গেছে। বর্তমানে এখানে একটু পানি বেশি। তাই এই এলাকা ছেড়ে আর যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে নদীতে কুমির দেখা যায়। আমরা ভেবেছিলাম চলে যাবে। এখন মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করা হবে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আবু দারদা বলেন, আমরা বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। বন বিভাগ কার্যকরী পদক্ষেপ  না নেওয়া পর্যন্ত আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো এবং সতর্কতামূলক মাইকিং এর ব্যবস্থা করেছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে