বিরলে জমি-জমার বিরোধ নিয়ে মারপিটে আহত হয়েছে ২ জন। নিজের ভোগদখলীয় জমি ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী। দরবারপুর (পিপল্যা) গ্রামের মৃত মানিক শাহ্ এর ছেলে মোঃ সুমন বানা (২৫) থানার অভিযোগে জানান, বিবাদী তেঘরা মহেশপুর গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমান এর ছেলে হেলাল হোসেন (২৮), দরবারপুর গ্রামের মোঃ মকছেদ আলী এর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৯), কোতয়ালী থানার উত্তর বালুবাড়ী এলাকার মাহফুজ উল্লাহরস্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৫) গণসহ আরো ৫/৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার পিপল্যা মৌজার ১৩৭ নং জেএল ভূক্ত ৮৮৩ নং খতিয়ানের ২৩১৬ নং দাগের পরিমান ৪৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। মৃত মানিক শাহ্ জীবদ্দশায় থাকা অবস্থায় ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে উক্ত সম্পত্তিতে আম ও লিচু গাছ রোপন করে গাছের ফল শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিল। আমার পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার পিতার রেখে যাওয়া উক্ত সম্পত্তি ও আম ও লিচু গাছ আমরা ভোগদখল করে আসছি। ভোগদখলে থাকাকালিন বিবাদীগণ আমার পিতার ক্রয়কৃত রেখে যাওয়া সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে জোরপূর্বক জোবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছে। বিবাদীগনেরা ইতিপূর্বে আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি যাহ্য আম ও লিচু গাছ রয়েছে উক্ত গাছ ও জমি জোবর দখল করার চেষ্টা করেছিল। সেই সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বিবাদীগনদের বাঁধা নিষেধ করলে বিবাদীগণেরা ইতিপূর্বে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করার চেষ্টা করে এবং আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তাই উক্ত বিবাদীগণদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমি বিবাদীগণদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার ফলে বিবাদীগণেরা আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট ও আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপরে আম ও লিচু গাছের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১ টার সময় বিবাদীগণ হাতে কুড়াল, দা, ও হাসুয়া নিয়ে আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি জোবর করার লক্ষ্যে অনধিকার প্রবেশ করে আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপরে থাকা ২৫ টি মুকুল ধরা চারা আম গাছ ও ২৫টি মুকুল ধরা লিচু গাছ উভয় কেটে ফেলে আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। উক্ত ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে আমাকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে অবগত করলে একই তারিখ বিকাল ৩টার সময় আমি ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থল দরবারপুর ইট ভাটা সংলগ্ন নামক জায়গা গিয়ে আমার পিতার সম্পত্তির মুকুল ধরা আম ও লিচু গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া দেখতে পেয়ে আমাদের আম ও লিচু গাছ কাটার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদীগণ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিবাদীকে গালি গালাজ করিতে বাঁধা প্রদান করলে বিবাদীদ্বয় আমাকে মারপিট করার জন্য ধাক্কাধাক্কি করে। আমি প্রতিবাদ করলে বিবাদীদ্বয় আমাকে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি মারপিট করে বুকে, পিঠে, হাত, পা, ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও কালোশিরা জখম করে এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং আমার পড়নের জিন্সের প্যান্টের ডান পকেটে থাকা আমার নগদ পাঁচ হজার সাতশত টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে নেয়। আমি ডাকচিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। ঘটনায় থানায় অপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তদুপরী ৫ মার্চ ২০২৫ বুধবার দুপুর ১২ টায় বিবাদীগণ আবারো আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আমি এবং আমার মা বিলকিস বেগম (৫৮) সংবাদ পেয়ে দ্রুত জমিতে গেলে বিবাদীগণ আমাদের উপর হামলা ও মারপিট শুরু করে প্রাণনাশের চেষ্টা করলে পথচারীরা এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। আমার মা গুরুতর আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিজের ভোগদখলীয় জমি ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দ্রুতহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী সুমন রানা।