মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের শিশু। এ ঘটনায় শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথম অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ওই অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকালে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, বোনের বাড়িতে মেয়েকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে কেউ একজন ধর্ষণ করেছে। যেহেতু ওই সময় বাড়িতে সে একা ছিল আর এখনও মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি তাই তাকে কে ধর্ষণ করেছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুবাস রঞ্জন হালদার বলেন, তাকে প্রথমে শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে নিয়ে গেলে ধর্ষণ আর হত্যা চেষ্টার আলামত পাওয়া যায়। মেয়েটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। সে কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা চাচা মো. ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমার ভাতিজি স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত শনিবার নিজ বাড়ি থেকে মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বড় বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার ভাতিজিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিটু মিয়াকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এর আগেও হিটু মিয়ার নামে একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বোন জামাই ও বোনের শ্বশুরকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।