নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

এফএনএস অনলাইন:
| আপডেট: ৮ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম | প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব নয়। নারীদের প্রতি সহিংসতার যে খবর আসছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। এসব নতুন বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায়। তবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার।

ড. ইউনূস বলেন, যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করে সমান অধিকার বাস্তবায়ন করবে। নারীবিরোধী যে শক্তি মাথা চাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করব। নারীকে খাটো করে দেখার মানসিকতা পাল্টাতে হবে, নইলে আমাদের ভবিষ্যৎ নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে। সমাজে নারীদের নায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে