গজারিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

এফএনএস (মোঃ আমিরুল ইসলাম নয়ন; গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) : : | প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
গজারিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলু পরিবহন কাজের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৮মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার আলম আজাদ।

এর আগে শুক্রবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের করিমখাঁ গ্রামে ভাটি চকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৫থেকে ২০ রাউন্ডের গুলি এবং আতঙ্ক তৈরি করতে প্রায় ৫-৬টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনার পর আলু পরিবহন কাজ বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইমামপুর ইউনিয়নের করিমখাঁ গ্রামের আলুর ব্যবসায়ীরা  গ্রুপের সাথে হোগলাকান্দির লালু-সৈকত গ্রুপের বিরোধ ছিলো।  চলমান আলু উত্তোলন মৌসুমে ট্রাক্টরে আলু পরিবহন কাজের কর্তৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি দ্বন্দ্বে জড়ায় উভয়পক্ষ। অন্যান্য বছরের মত এবারও লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজন একচ্ছত্রভাবে ট্রাক্টরে আলু পরিবহনের কাজ করতে চাইলে সেখানে বাধা দেয় আলুর ব্যবসায়ীরা । শুক্রবার দিবাগত রাত দশটার দিকে হোগলাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন ভাটি চকে কৃষকের জমি থেকে লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজন তাদের ট্রাক্টরে আলু বস্তা লোড করার সময় সেখানে বাধা দেয় আলুর ব্যবসায়ী গ্রামবাসী  লোকজন। এ সময় আতংক তৈরি করতে প্রথমে প্রায় ৫-৬টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।পরে উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে রাত বারোটা পর্যন্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় ২০ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আব্দুল আলী বলেন, ' এই চকে আলু পরিবহনের কাজে অন্য কোন লোক আসতে পারে না শুধুমাত্র একটি পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করছে। স্বাভাবিকের চাইতে অন্তত বস্তাপ্রতি ১৫ টাকা বেশি দিয়ে আমাদের আলু পরিবহনের কাজটি করতে হয়। একাজে অনেক লাভ হয় বিধায় আলু পরিবহনের কর্তৃত্ব নিয়ে গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এখন আপাতত আলু পরিবহনের কাজ বন্ধ। দ্রুত অবস্থার উন্নতি না ঘটলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে'।

স্থানীয় কৃষক মোকাররম হোসেন বলেন, ' উভয় পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে আলু পরিবহনের কাজ আপাতত বন্ধ। ভয়ে কেউ ট্রাক্টর নিয়ে আলু পরিবহনের কাজ করতে আসছে না । আমাদের উত্তোলিত আলু জমিতে পড়ে আছে'। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে আলুর ব্যবসায়ী গ্রামবাসীর  এবং লালুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, শনিবার সকালে আমি খবরটি পেয়েছি। জড়িতদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কৃষক যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উত্তোলিত আলু পরিবহন করতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে