পাবনার গাছপাড়ায় এ আর খান প্রজেক্টে চাঁদা না দেওয়ায় তিন কাঠা জমির প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবী প্রজেষ্ট ম্যানেজার জহরুল ইসলাম একের পর এক বিভিন্ন জনের কাছে প্রজেক্ট দেখিয়ে জমি বিক্রি করে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তেমনি একজন মালিগাছা ইউনিয়নের ধরবিরা গ্রামের খন্দিকার আলমগীর হোসেন। তার মতো অনেকেই এই প্রজেক্ট থেকে জমি ক্রয় করে জমি বুঝে পায়নি। অনেকেই আদালতের সরনাপন্ন হচ্ছেন। প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্থ্যক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খন্দকার আলমগীর হোসেন এর অভিযোগ, এ আর খান প্রজেক্ট এর আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ২০০৮ সালে আর এস খতিয়ানভুক্ত তিন কাঠা জমি ক্রয় করি। কিন্তু প্রজেক্ট ম্যানেজার জহরুর ইসলাম সীমানা প্রাচীর করে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে প্রাচীর দেওয়ার অনুমতি দেয়। পরে প্রাচীর করা হলে তিনি আরো এক লাখ টাকা দাবী করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় তিনি আমার জমির পূর্ব পাশের জমির মালিক ডা. শফিকুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের সাথে যোগ সাজসে প্রজেক্ট ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম আমরা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়। নিরুপায় হয়ে আদালতের সরনাপন্ন হয়েছি।
ঐ প্রজেক্ট থেকে ২০১০ সালে সাড়ে চার কাঠা জমি ক্রয় করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি। তিনি আজ পর্যন্ত তার ক্রয়কৃত জমি বুঝে পাননি। তার মতো অনেকই এই প্রজেক্ট থেকে জমি কিনে প্রতারণা ও হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন।
অভিযুক্ত এ আর খান প্রজেক্ট ম্যানেজার জহুরুর ইসলাম বলেন, আলমগীর হোসেন তিন কাঠা জমি বুঝিয়ে দিয়ে প্রাচীর করে দিই কিন্তু পাশের জমির মালিক ডা. শফিকুল ইসলাম ডিআইজির সাহেবের ভয় দেখিয়ে ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিলো কিন্তু ডা. শফিকুল পক্ষ না আসায় মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।