আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ডিসিআর নিয়ে মৎস্য চাষ করা ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ আহত হয়েছে। এব্যাপারে ৬ জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মোন্তেজ আলী গাজীর ছেলে কোহিনুর ও আমিরুল লাঙ্গলদাড়িয়া ও কলিমাখালী মৌজায় ১ নং খতিয়ানে ২৫২৫ নং দাগে ২.০০ একর জমি অনেক আগে থেকে মৎস্য চাষ করে ভোগদখল আছেন। ২০২৪ সালে ইজারা কেস নং ২৫১/১৪৩১ মোতাবেক একসনা বন্দোবস্ত গ্রহন করেন। এবং ১২/০২/২৫ তাং আবারও একসনা ইজারা (কেস নং ২৫১/১৪৩১) গ্রহন করে মৎস্য চাষ করে ভোগদখলে আছেন। বিবাদী বকচর গ্রামের মৃত লোকমান সরদারের ছেলে আলমগীর ও আলামীন, কুদ্দুছ সরদারের ছেলে ইসমাইল, নবাব সরদারের ছেলে ইমরান, রাজ্জাক গাজীর ছেলে আশরাফুল, লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মৃত মহব্বত গাজীর ছেলে শাহাদাৎ ঘেরটি জবর দখলের করতে ষড়যন্ত্র ও বাদীদের ভোগদখলে বাধা সৃষ্টি করছে। গতকাল ৯ মার্চ সকাল ৮.৩০ টার দিকে বাদীর ভাই আমিরুল মাড়িয়ালা মৎস্য সেটের পাশে কার্লভাটের উপর দাড়িয়ে ছিলেন, তখন বিবাদীরা বেআইনী দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, শাবল, হাতুড়ি হাতে নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। সংবাদ পেয়ে বাদীর ভাই কহিতুর, আনারুল, বাদীর স্ত্রী মরিয়ম, আমিরুলের স্ত্রী আফরোজা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করে আহত করা হয়। স্বাক্ষীরা এগিয়ে গেলে বিবাদীরা বাদী পক্ষকে জীবন নাশের হুমকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত আমিরুল, আনারুল ও আফরোজাকে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।