বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরে এক ভারতীয় গুপ্তচর ও হত্যা মামলার আসামী ভোটার আইডিতে বাবার নাম পরিবর্তনের করে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বাংলাদেশী টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছেন ভারতে। ভারতে তিনি নিজ নামে জমি ক্রয় করে সেখানে বাড়ী-ঘর নির্মান এবং ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। এ বিষয় সংক্রান্তে সু-নিদৃষ্ট প্রমান পাওয়া গেছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে তার ভোটার নং-০১০২৬৩০৭৮১১০। জন্ম তারিখ-৩০/০১/১৯৭৮ সাল। এবং তার মৃত: পিতা বঙ্কিম চন্দ্র বালার ভোটার নং- ০১০২৬৩০৭৮১১১। জন্ম তারিখ-২৫/০১/১৯৩২ সাল। গ্রাম খড়মখালী, উপজেলাঃ চিতলমারী জেলাঃ বাগেরহাট। বিকাশ চন্দ্র বালা পিতার নাম বঙ্কিম চন্দ্র বালার স্থলে পিতার নাম “অক্ষয় মাঝি” উল্লেখ পুর্বক বাংলাদেশী আইডি কার্ড তৈরি করেছেন এই ভারতীয় নাগরিক শ্রী বিকাশ চন্দ্র বালা। বর্তমান বিকাশ ষ্টোর নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে চিতলমারী এস.এম.সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মার্কেটে।
ভারতীয়- কট্রোরপন্থী হিন্দুত্ববাদী ও পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী দোসর, বিকাশ চন্দ্র বালার ভারতীয় প্যান কার্ড-নং-বি.বি.পি.পি.বি.৬৭৬৪ডি। সেখানে তিনি শ্রী বিকাশ বালা,পিতা-শ্রী বঙ্কিম চন্দ্র বালা, সাং বিষ্ণপুর, পো: পুর্ব বিষ্ণপুর,থানা: চাকদাহ, জেলা: নদীয়া ঠিকানায়, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত: সুরেন্দ্র নাথ দাস রায় এর ছেলে শ্রী-অরবিন্দু নাথ দাস রায়, প্যান কার্ড নং-বি.ডি.পি.পি.আর.৭৪৪০এল। এর কাছ থেকে বিষ্ণপুর মৌজার,আর, এস,ও,এল,আর,১০৯৭ নং-দাগের ০৪.৯৫ শতক জমি বিগত ২৮.০৩.২০১৮ তারিখ ৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ১২০ টাকার কবলা দলিল মুলে ভারতীয় ব্যাংক চেকের মাধ্যমে বিক্রেতাকে টাকা পরিশোধ করেন। যার দলিল নং-জে,৩৫৯২/২০১৮। এই সম্পত্তিতে বিকাশের ছেলে-মেয়ে বর্তমান বসবাস করছে। বাংলাদেশী ভোটার আইডিতে বিকাশ চন্দ্র বালা, পিতা বঙ্কিম চন্দ্র বালার স্থলে “অক্ষয় মাঝি” পরিচয়ে ভারতীয় “র” এর ভূমিকা পালন করছেন এই দুর্ধর্ষ বিকাশ চন্দ্র বালা।
এছাড়া বিকাশ চন্দ্র বালা চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামের (জীতেন্দ্রনাথ ডাকুয়ার ছেলে) যুগল ডাকুয়ার স্ত্রী শিক্ষিকা হাসি কনা বিশ্বাস হত্যা মামলার ২নম্বর আসামী। এব্যপারে চিতলমারী থানার মামলা নং-০৪ তারিখ-২২/৭/২০২০। এই মামলার এজাহারে বিকাশ চন্দ্র বালা, পিতা- বঙ্কিম চন্দ্র বালা উল্লেখ থাকলেও বর্তমান ভারত-বাংলাদেশের এই দ্বৈত নাগরিকের পিতার নাম “অক্ষয় মাঝি” দেখা যায়। সরেজমিনে খড়মখালী গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে বিকাশের বাবার নাম বঙ্কিমবালা। এব্যপারে জেলা নির্বাচন অফিসার অলিউল ইসলাম জানান, ভোটার আইডিতে ভুঁয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা করলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে ; কোন ব্যক্তির মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান আছে। বিকাশ বালার সাথে কথা হলে তিনি বলেন বাবার নাম পরিবর্তনে কি হবে। আমি বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী, ভারতে যাই-আসি। এতে কোন অপরাধ নাই।