ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে আগুনে দগ্ধ যুবক আহসানুল ইসলাম অর্কিড (৩২) মারা গেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সকাল ১১ টার দিকে মারা যান তিনি। অর্কিড কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ এলাকার ওসমান গনির ছেলে। অর্কিডের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অর্কিডের পিতা ওসমান গনি।
অর্কিডের পারিবার জানায়, প্রায় এক মাস আগে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান রিংকুর স্ত্রী তারিন খাতুনকে নিয়ে পালিয়ে যান অর্কিড।পরে তারা বিয়ে করেন এবং আত্মগোপনে থাকতে শুরু করেন। অর্কিড ও তারিন আগে থেকেই বিবাহিত এবং তাদের দুটি করে সন্তান আছে।শেষে চলতি মাসের ৬ মার্চ (বুধবার) সকাল ৭টার দিকে যশোরের পুরাতন কসবা রায়পাড়া বটতলা মসজিদের কাছে মিমাংসার কথা বলে ডেকে অর্কিডের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ঘটনার দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অর্কিডের একাধিক ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, তার শরীরে জোর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্কিট বিশেষ বিশেষ কাজের সময় রিংকুর বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। ফলে বাসায় উঠাবসার মধ্যে দিয়ে রিংকুর স্ত্রী তারিন খাতুনের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ও তারা পালিয়ে গিয়ে দু,জনে বিবাহ করে।
পরকীয়ার জেরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আহসানুল ইসলাম অর্কিড নামে এক যুবককে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। দগ্ধের ৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে অর্কিড।গত ৫ দিন ধরে অর্কিড ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। অর্কিডের বাবা ওসমান গনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে আর নেই। সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ভাইপো মনিরুজ্জামান রিংকু, তার স্ত্রী তারিন ও ফয়সাল আমার ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।গত বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে যশোর পুরাতন কসবা রায়পাড়া বটতলা মসজিদের কাছে মীমাংসার কথা বলে অর্কিডকে যশোরে ডাকেন তারিন। এ সময় তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সাবেক এমপি আনারের ভাইপো মনিরুজ্জামান রিংকু, তারিন খাতুন ও ফয়সাল নামে এই তিনজন শরীরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা অর্কিডের পরিবারের স্বজনদের খবর দিলে তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ভয়ে যশোরের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে রেফার করা হয়।কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আহত অর্কিড জানায়, তার শরীরে রিংকু, তারিন ও ফয়সাল পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, মৃত্যুর ব্যাপারটি আমি জানিনা। তবে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি সেদিন আমি শুনেছিলাম। থানায় কোন মামলা হয়েছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, প্লেজ অব অকারেন্সে মামলা হওয়ার কথা। তাছাড়া এ থানাতে ওই পরিবারের কেউ আসেনি।