মুক্তিযোদ্ধার দোকান ঘরে বিএনপির ব্যানার টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা

এফএনএস (এস এম ওমর আলী সানি; আগৈলঝাড়া, বরিশাল) : | প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
মুক্তিযোদ্ধার দোকান ঘরে বিএনপির ব্যানার টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিকারপুর বন্দরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমানের দোকান ঘরে সম্প্রতি বিএনপির ব্যানার টাংগিয়ে বিএনপির অফিস বানানোর জন্য দখল করছে উজিরপুর উপজেলা যুবদল যুগ্ন আহবায়ক মো. জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদার।  

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলার শিকারপুর বন্দরের চাঁন্দিনা ভিটার ৪ শতাংশ জমি বাৎসরিক ইজারার মাধ্যমে ১৯৫০ সাল থেকে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমান। ২০১৫ সালে তার তার মৃত্যুর পরে তার দুই ছেলে ভোগ দখল করে আসছে। ওই ঘর দখলে নেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদল যুগ্ন আহবায়ক মো. জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদার তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলার আহ্বায়ক এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার “শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপির স্থায়ী কার্যালয়” লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। বিষয়টি দলের মাধ্যমে এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে অবগত করা হয়েছে। তিনি  দেশের বাহিরে রয়েছে। 

এব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক মো. মাহফুজুর রহমান মাসুম অভিযোগ করে বলেন, উজিরপুর উপজেলা যুবদলের দুই যুগ্ম-আহবায়ক মো. জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদার তারা  আমাদের উজিপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরের দোকারঘর দখল করে বিএনপির অফিস করার জন্য জোর করে বিএনপির সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে।

এবিষয়ে উজিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন খান বলেন, ওই দোকানঘর সাংবাদিক মাসুমের পিতার। এখন সেটা কিছু বিএনপি নেতার নজরে পরেছে। তারা সাইনবোর্ড দিয়েছে বলে শুনেছি। অন্যের দোকানঘরে ব্যানার লাগানোর কোন সিদ্ধান্ত বিএনপি দেয়নি। উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরে আসার পরে তার সিদ্ধান্ত অনুসারে সাইনবোর্ড খুলে মাসুমের দোকান তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। 

 এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. জালিস মাহমুদ মৃধা ও রুহুল কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, ওই দোকান ঘর কে বা কাহারা দখল করার জন্য বিএনপির ব্যানার টাঙগিয়েছে তা আমাদে জানা নাই। আমরা ওই দোকান ঘর দখলের সাথে জরিত না। আমাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এলাকার একটি গ্রুপ আমাদের বিরুদ্ধে দলের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা বলেন, দোকানঘরের জমি হাট-বাজারের পেরিপেফি ভুক্ত। সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান ডিসিআর বলে জমির বৈধ মালিক। তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তকরে আইনানূগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।