বরগুনায় পথশিশুকে ধর্ষন চেষ্টার পর লুকিয়ে রাখার অভিযোগ!

এফএনএস (মোঃ হাফিজুর রহমান; বরগুনা) :
: | আপডেট: ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম : | প্রকাশ: ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
বরগুনায় পথশিশুকে ধর্ষন চেষ্টার পর লুকিয়ে রাখার অভিযোগ!

বরগুনায় আট বছরের এক পথশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার পর  সদর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম আলী (৬৫) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার  (১৫ মার্চ) রাত ২ টার দিকে বরগুনা  শহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বৃদ্ধ মোসলেম আলী সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী পথশিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকায় বসবাস করে। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো।

জানা গেছে, অভিযুক্ত মোসলেম আলী বরগুনা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশুটিকে চকলেটের প্রলোভন  দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে  তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি না দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছিল।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেম আলীকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম আলী  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।

 এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার এবং তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করায় তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW