চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাবার পথে এমভি বোগদাদিয়া - ৮ লঞ্চের ডেকে সাদিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। জন্ম নেওয়া শিশুটির নৌ যাত্রা আজীবন ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় (১৬ মার্চ ২০২৫) ওই নবজাতকের জন্ম হয়। বোগদাদিয়া -৮ লঞ্চটির মালিক হামিদুল্লাহ সুমন এই খবর জানতে পেয়ে আজীবন ওই যাত্রীর লঞ্চ ভাড়া ফ্রি করার ঘোষণা দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লঞ্চের কেরানি মো. দীপু। সাদিয়া আক্তার চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের দিনমজুর জহির খানের স্ত্রী। চিকিৎসার জন্য তিনি চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
বোগদাদিয়া ৮ লঞ্চের কেরানি মো. দীপু বলেন, ‘রোববার বিকেল পাঁচটায় এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যায় লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাছাকাছি আসলে তখন নিচতলার ডেকে সাদিয়া আক্তার নামের এক যাত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। আমরা তাঁকে কেবিনে নিয়ে যাই। সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটের সময় তিনি একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম দেন।’ মো. দীপু জানান, এই খুশিতে লঞ্চের মালিক হামিদুল্লাহ সুমন আনন্দিত হয়ে শিশুটির জন্য আজীবন ওই লঞ্চে যাতায়াত ফ্রি ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদিয়া আক্তারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর চাচিশাশুড়ি মৌসুমি বেগম। তিনি বলেন, সাদিয়ার প্রসবব্যাথা হলে তাঁকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে তাঁরা সাদিয়াকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, চাঁদপুরে নবজাতকের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। এ জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এদিন বিকেল পাঁচটার লঞ্চে তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তবে লঞ্চের মধ্যেই সাদিয়া স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন।
মৌসুমি বেগম জানান, গতকাল রাতে ঢাকায় নেমে সাদিয়াকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাত ১২টার লঞ্চে করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের হাইমচরে চলে আসেন। এখন নবজাতক বাচ্চা ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।