চরসোনরামপুরে আবারও মেঘনা নদীর ভাঙ্গন,আতঙ্কে চরবাসী

এফএনএস (মো: আক্তারুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
চরসোনরামপুরে আবারও মেঘনা নদীর ভাঙ্গন,আতঙ্কে চরবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর সোনরামপুরে আবারো মেঘনা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই মেঘনা নদীর চরসোনারামপুরের উত্তর পাশে নবনির্মিত শ্বশান এলাকায় এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। গতকাল রাত আনমানিক ১১টায় কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই ৪০/৪৫ ফুট এলাকা ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে যায়। এসময় নদীর তীরে ভসে থাকা একবৃদ্ধ অল্পের জন্য রক্ষা পায়।এতে চরসোনারামপুর এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করতে দেখা গেছে। তাৎক্ষনিকভাবে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে চরসোনারামপুরবাসী উলুধ্বনি এবং পুজা অর্চনা করে গঙ্গাগদেবীর কাছে প্রার্থনা করেন।নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশান এবং আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.হেলাল খান বিকাল ৩টায় চরসোনারামপুর নদী ভাঙ্গন ঐলাকা পরিদর্শনে যান। শতবছর আগে জেগে উঠা এই চরসোনারামপুরে প্রায় তিনসহস্রাধিক জেলেপরিবারসহ নিম্ন আয়ের লোকজন বসবাস করে।যাদের অধিকাংশ লোক নদীতে মাছ ধরে জিবীকা নির্বাহ করে।গত ৪/৫ বছরের অব্যাহত ভাঙ্গনে এই চরের শতাধিক একর জমি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কারনে ছোট হয়ে আসছে এই চরের সীমানা ।এই চরের পশ্চিম এবং দক্ষিন পাশে বালির বস্তা ফেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না নদী ভাঙ্গন।হুুমকির মুখে পড়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশান এবং  জাতীয় গ্রীডলাইনের টাওয়ার।এ্ই বিষয়ে শনিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,নদী ভাঙ্গনের সময় চরের যশোরদ চন্দ্র বর্মন দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তলিয়ে যাচ্ছিলেন।তার পাশে থাকা লোকজন ও তার স্ত্র্রী তাকে টেনে ধরে কোনরকমে উপরে টেনে নিয়ে আসেন। ভাঙ্গনের সময় পুরো চর এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছিল বলে জানান চরবাসী।

এ বিষয়ে চরসোনরামপুরের প্রত্যক্ষদর্শি শুলসী রানী দাস বলেন,আমরা তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে উলুধ্বনি দিয়ে,মোমবাতি জালিয়ে,ফুল দিয়ে পুজা অর্চনা করেছি গঙ্গা দেবীর কাছে । এরপর থেকে আমরা চরবাসী নিয়মিতভাবে ভাঙ্গন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা পুজা দিচ্ছি।ভগবানই আমাদের রক্ষা করবেন।চরের বাসীন্দা অর্জুন দাস বলেন,চরের পশ্চিম পাশের ভাঙ্গন এলাকায় রয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলার  সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের একমাত্র শ্বশান এবং অনেকগুলো জেলে পরিবার। আর দক্ষিনপাশে রয়েছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০কেভি জাতীয় গ্রীডলাইনের টাওয়ার। 

এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা হিন্দু,বৌদ্ধ-খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিতাইচন্দ্র ভৈৗমিক বলেন,শুধু বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রক্ষা সম্ভব নয়।তিনি স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট আবেদন জানান।অন্যথায় ধীরে ধীরে নদী ভাঙ্গনের কারণে একদিন চরসোনরামপুর পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ্অশংকা রয়েছে।

এবিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,আমি নতুন যোগদান করেছি মাত্র দুইদিন আগে ।চরের ভাঙ্গনের ব্যাপারে আমি শুনেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে