শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। কোন স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় হুমকির মধ্যে পড়েছে বসত ভিটাসহ বিভিন্ন ফসলী জমি। ইতিমধ্যে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার বেশ কিছু এলাকা। বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে নদীতে মিশে গেছে, যার ফলে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই শুষ্ক মৌসুমেই দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার নইলে বর্ষা মৌসুমে তীব্র ভাঙন দেখা দিতে এমন টা মনে করেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে বেড়িবাঁধের ব্যাপারে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসস্তোষ দেখা দিয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চরম ঝুঁকিতে আছে সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া, কৃষ্ণনগর, হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা, খুলুমবাড়িয়া, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া, উলুবাড়িয়া,নতুনভুক্ত মালিথিয়া ও লাঙ্গলবাঁধ বাজার এলাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কার না হওয়ায় ফাটল ধরে তা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে যার ফলে হুমকিতে পড়েছে এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলি জমি। দুই যুগ ধরে একে একে গড়াই নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বদলে গেছে উপজেলার ৩ ইউনিয়নের বড় একটি অংশের চিত্র। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বড়ুরিয়া-কৃষ্ণনগর, খুলুমবাড়ি, মাদলা, কাশিনাথপুর ও লাঙ্গলবাঁধ এলাকা। বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ বছর বর্ষা আসতে না আসতেই আবার দেখা দিয়েছে গড়াই নদী ভাঙনের ভয়াল রূপ। নদীগর্ভে ভিটে-মাটি চাষাবাদের জমি ও সহায়-সম্বল হারানো গৃহহীনরা সত্বর স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদী ভাঙন রূখতে সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। মাদলা গ্রামের জেহের আলী বলেন, শুস্ক মৌসুমেও গড়াই নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনই কোন স্থায়ী পদক্ষেপ না নিলে আমাদের বাড়ি সহ অনেক বাড়ি ফসলি জমি যে কোন সময় নদীতে বিলিন হতে পারে। আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। সামনে আর ও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এমন টা আশংকা করছেন এলাকাবাসি।
সহায় সম্বল হারানো বড়ুলিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, এবার শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতি বছর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয় নদীতে তবে তা কাজে আসছে না। আমরা স্থায়ী বাধ নির্মাণের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানান, আমরা গড়াই নদী নিয়ে কাজ করছি। আমি অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।