ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বুধবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে একটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছেন। উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ভাটি শালেপুর গ্রামে পদ্মা পারের ফরিদ মোল্যা (৪৮) এর ড্রেজার মেশিনটি ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় পদ্মা পারে স্থাপিত ড্রেজার মেশিনটি ভাঙচুর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় এবং ড্রেজার মেশিনের প্রায় এক হাজার মিটার পাইপ লাইন ধ্বংস করা হয়। এ অভিযানের অন্যরা হলেন-চরভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, ইউএনও অফিস সহায়ক মোঃ ইব্রাহিম, তিন পুলিশ কনস্টেবল ও তিন আনসার সদস্য।
জানা যায়, কিছুদিন ধরে ভাঙন কবলিত উক্ত পদ্মা পারে ফরিদ মোল্যা নামক একজন বালু ব্যাবসায়ী অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিল। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওইদিন ভোররাতে পদ্মা নদী পার হয়ে পায়ে হেটে দুর্গম চরের ঘটনাস্থলে পৌছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সাত সকালে চরাঞ্চলে ইউএনও আগমনের টের পেয়ে ড্রেজার মালিক ও চালকসহ সবাই গাঁ ঢাকা দেয়। ফলে অভিযানে কেউ গ্রেফতার হয় নাই। পরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন সহ বালু সরবরাহের পাইপ লাইন ধ্বংস করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার বিকেলে উক্ত ড্রেজার মালিক ফরিদ মোল্যা মুঠোফোনে জানায়, “পদ্মার চরে আমার ড্রেজার মেশিনের পার্শ্ববতী এলাকায় মাসুদ খান ও আঞ্জু শেখের আরও দু’টি ড্রেজার মেশিন রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন রহস্য জনকভাবে বার বার শুধু আমার ড্রেজার মেশিনই ধ্বংস করে চলেছেন। অন্যান্য অবৈধ ড্রেজার গুলোর উপর প্রশাসনের কোনোও নজরদারি নাই”।