কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ড্রাইভার ফজলুল হক ওরফে ফজলুকে গ্রেফতার করেছে রাজারহাট থানা পুলিশ। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন। গ্রেফতারকৃত ফজলু লালমনিরহাটের চর গোগুন্ডা এলাকার টেংরা মামুদ এর ছেলে। শুক্রবার রাতে রংপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আত্মীয়তার সুবাদে গত ২ মার্চ রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সুলতান মাহমুদ গ্রামের ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে যায় গাড়ি চালক ফজলুল হক ও তার স্ত্রী। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদরের চরগুকুন্ডা গ্রামে নিয়ে যায় কিশোরীকে। পরে স্ত্রীর সহযোগীতায় কিশোরীকে তাদের বাড়িতে আটকিয়ে রেখে ১৮ দিন যাবত ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারন করে ফজলুল ও তার সহযোগী সেলিম। এরপর বুধবার রাতে কৌশলে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আসার সময় ফজলুলের লোকজন ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী রাজারহাটের গতিয়াসাম গ্রামে আব্দুল বাছেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয় কিশোরী। সেখানে বর্ণণা দেন তার সাথে ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক ঘটনার। পরে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা হলে শুক্রবার রাতে প্রধান আসামি ফজলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজলুলকে রংপুর গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দুই আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।