ছুটি শেষে পরিবারের সাথে স্বাচ্ছন্দে ঈদ করতে ভোলা-চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক দুটি ক্রুজ জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। গত ২০ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম-বেতুয়া রুটে এমভি বারো আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস নামে দুটি জাহাজ নিয়মিত চলাচল করছে। সড়ক পথে দীর্ঘ পথ ভোগান্তির জার্নি দুর করতে নৌপথে আরামদায়ক এই যাতায়াতে যাত্রীদের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে সকাল ৮টায় একটি ছাড়ে এবং আরেকটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া ঘাট থেকে একই সময় ছাড়ে। পথিমধ্যে লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার, তজুমদ্দিন উপজেলার চৌমুহনি, মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ ঘাটে যাত্রী উঠানামা করায়। ইতোমধ্যে সড়ক পথ ছেড়ে এই নৌপথে যাত্রীদের চলাচল শুরু হয়েছে। লালমোহন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন পেশায় কাজ করে। অনেকে পরিবার নিয়েও চট্টগ্রামে বসবাস করে। তাদের বাড়ি আসতে যেতে সড়ক পথে অনেক ভোগান্তি হয়। এবার জাহাজ সার্ভিস চালু হওয়ায় সবার জন্য সুবিধা হলো। ঈদেও বাড়ি আসা এবং কর্মস্থলে ফেরা অনেক যুদ্ধ করতে হয। এই ঈদে নিরাপদে বাড়ি আসতেও পারবে আবার পরিবারের সাথে ঈদ কাটিয়ে নিরাপদে ফিরতেও পারবে। চট্টগ্রাম থেকে ফেরা লালমোহনের যাত্রী নুরে আলম জানান, চট্টগ্রামে তার ভাই চাকরি করে। তার সাথে দেখা করার জন্য কয়েকদিন আগে বাসে করে গিয়েছিলেন। নৌপথে জাহাজ চালু হওয়ার সংবাদ পেয়ে তিনি জাহাজে করেই ফিরেছেন। সড়ক পথের চেয়ে নৌপথ অনেক আরামদায়ক বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম থেকে বেতুয়া জাহাজ সার্ভিস চালু করেছেন মেসার্স কর্ণফুলি ক্রুজ লাইন। এ বিষয়ে কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের পরিচালক মো. শামসুল আলম বলেন, যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সেবাটি চালু করেছে কর্ণফুলী ক্রুজলাইন কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যেন নিরাপদে, নির্বিঘ্নে ও আরামে এ পথে আসা যাওয়া করতে পারে সে জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।