ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে খানাখন্দ,যানজটের শঙ্কা

এফএনএস (মো: আক্তারুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে খানাখন্দ,যানজটের শঙ্কা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্তরে এসে একত্রিত হয় ঢাকা-সিলেট-কুমিল্লার সব যানবাহন।আশুগঞ্জ আখাউড়া রাস্তা নির্মানকাজ শেষ না হওয়ায় এসড়ক যেন এখণ যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।রাস্তায় এত খানাখন্দ যে রাস্তা না ছোট ছোট পাহাড় তা বুঝাই মুশকিল ।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ হয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে বাস চালান আবুল হোসেন। আশুগঞ্জ হয়ে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তার ধুলোবালি বাসের যাত্রীদের চেহারা একবাবে পাউডার হয়ে যায় বলে তিনি জানান।।গত পাচবছর এই অবস্থারা কোন পরিবর্তন নেই।এখন এক য়ন্ত্রনার নাম।আশুগঞ্জ-সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে আসলেই তার আর গাড়ি চালাতে ইচ্ছে হয় না।কারণ হিসাবে এই চালক বলেন, খানাখন্দ আর গর্তের কারণে এমন কোনো দিন নেই এখানে আসলে একঘন্টার আগে বাস নিয়ে সরাইল যেতে পেরেছি।আবুল হোসেন এই মহাসড়কে চলাচলকারী ‘রিয়েল কোচ' বাসের মালিকও। তিনি আরও বলেন, “সামনে ঈদ উপলক্ষে যানজট বেড়েই চলেছে।ঈদ পর্যন্ত কি হবে জানি না।

জানা যায়,ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১২ দশমিক ২১ কিলোমিটার; এ অংশ জুড়ে আছে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত। যে কারণে এখানে গাড়ির সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ নেমে আসে ১০ কিলোমিটারে।আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় সড়ক জুড়ে আছে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত। ফলে গাড়ি চলতে হয় ধীরগতিতে ।এর ফলে এবারের ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তি সৃষ্টি হবে বলে নিজেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে থানার ওসি।সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মামুন রহমান বলেন, ১০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি আধা কিলোমিটার চলাচল করলে পিছনে থাকা গাড়িও ধীরে চলাচল করতে হয়। ফলে জ্যামের সৃষ্টি হয়।এ পথে চলাচল করা চালক-যাত্রীরা বলছেন, প্রতি বছর ঈদযাত্রায় দেশের অন্য মহাসড়কের তুলনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অংশে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।এর মধ্যে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার ফোরলেন এবং বিশ্বরোড থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে মাধবপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার অংশে ছয় লেনের নির্মাণ কাজ এখনো চলছে।তার পাশাপাশি মহাসড়কের ওপর অবৈধ হাট-দোকানপাট, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অবৈধ থ্রি-হুইলার অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে যানজটে পড়তে হয়।

ট্রাক চালক লোকমান হোসেন বলেন, “সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোল চত্তরে ঢাকা-সিলেট-কুমিল্লার সব যানবাহন একত্রিত হয়ে পার হতে হয়। তিন দিকের গাড়ি এক জায়গায় একত্রিত হওয়ার ফলে এমনিতেই জ্যামের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আছে ভাঙাচোরা ও বড় বড় গর্ত।”তিনি আরও বলেন, “আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত ফোরলেন ও সরাইল বিশ্বরোড থেকে সিলেট পর্যন্ত ছয় লেনের কাজ চলমান। নির্মাণ কাজের জন্য এসব সড়কে একটু পরপর বালুর গাড়িসহ বিভিন্ন মালামাল এনে রাখার ফলে জ্যামের সৃষ্টি হয়।

এ ট্রাক চালক আরও অভিযোগ করেন, বিশ্বরোড থেকে সিলেটের পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশের আশুগঞ্জ গোলচত্বর, খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড,খাঁটিহাতা মোড়, বাড়িউড়া, শাহাবাজপুর, চান্দুরা, বুধন্তী, আলিনগর, মাধবপুর ব্রিজের অংশ পর্যন্ত সড়কের পাশে অবৈধভাবে গাড়ি রাখার জন্য আরও বেশি জ্যামে পড়তে হয়।”

শুধু দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকরা নয়, এ মহাসড়কের দুর্ভোগের ভুক্তভোগী স্থানীয়রাও।ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে প্রত্যেকদিন আশুগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করতে আসা আমিনুল বলেন, আশুগঞ্জ গোলচত্বর এবং বিশ্বরোড মোড়ের যানজটের ফলে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় বেশি নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বেরতলা এলাকার মুন্নি স্টোর দোকানের সত্ত্বাধিকারী মমিন মিয়া বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার ফলে আশুগঞ্জ থেকে দোকানের জন্য মালামাল কিনে আনতে আসা-যাওয়া খরচ তিনগুণ বেড়েছে।

অন্যদিকে মহাসড়কের ধুলাবালির জন্য দোকানে কেউ বসতে চায় না এজন্য চা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

সরাইল কুট্টাপাড়া মোড় এলাকার বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শফিক রহমান বলেন, সড়কের বেহাল দশা ও ধুলাবালির জন্য প্রত্যেকদিন কলেজে যেতে ভালো লাগে না। এখন কলেজ বন্ধ তবু সড়কের ধুলাবালিতে এখন বাড়িতেও থাকা কষ্টসাধ্য।তবে এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিনের ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভস করেননি।আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া কথা বলেছৈণ,তিসি বলেণ,আমি নতুন আশুগঞ্জে যোগদান করেছি। এব্যাপারে কোন তথ্য নেই আমার কাছে। তবে জেলা প্রশামসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে যেন ঈদ যাত্রায় যানজট কমানো যায় এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করব।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে