ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে গত মধ্যরাত হতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। জানা যায়, আসন্ন ঈদ উৎসব সামনে রেখে লম্বা ছুটির স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মহাসড়কটির মুন্সীগঞ্জ অংশে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টা হতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। কখন মহাসড়কে যানবাহন চলাচলা স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। গজারিয়া থানার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ শওকত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার আলম আজাদ শুক্রবার সকাল পৌনে দশটায় বলেন, গত মধ্যরাত হতে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা ও বাউশিয়া এলাকায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের অত্যাধিক চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, মেঘনা সেতু পার হয়ে যানজটে আটকে আছি। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো অনিশ্চিত। ঢাকা মুখী জননী পরিবহনের যাত্রী রোখসানা আনোয়ার বলেন, বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনে জ্যামে পড়েছে আমাদের বহনকারী বাসটি, আমরা আধ ঘণ্টায় এক দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলাম।
আজ সকাল ৮ টা থেকে মহাসড়কে ডিউটিতে রয়েছেন জানিয়ে গজারিয়া থানার এস আই আব্দুল কাদের বলেন, শুক্রবার সকালে বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনের মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও পিকাপ ভ্যানের সংঘর্ষের কারণে এখানে জ্যাম রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
সরজমিন মহাসড়ক এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দ্রুগতিতে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, একে অপরকে ওভারটেক করার প্রবনতাসহ মহাসড়কে তিন চাকা বিশিষ্ট তুলনামুলক কমগতির সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত থ্রি হুইলার এলোপাথারী চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার মত ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। পবিত্র রমজান মাসে মহাসড়কে যানজটের কারণে ঈদ সামনে রেখে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে যানজটে আটকে পড়া নারী ও শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়।