চট্টগ্রামে ভাই-বোন ও মায়ের হাতে প্রকৌশলী খুন

এফএনএস (মোঃ আবদুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম) :
| আপডেট: ২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম | প্রকাশ: ২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
চট্টগ্রামে ভাই-বোন ও মায়ের হাতে প্রকৌশলী খুন

চট্টগ্রামের রাউজানে ভাই-বোন ও গর্ভধারণী মায়ের হাতে খুন হয়েছেন প্রকৌশলী নুরুল আলম বকুল (৪১) নামে এক যুবক। এ সময়  ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন রাজু আহম্মদ নামে আরও এক ভাই। বর্তমানে ঘাতকরা পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের তিতা গাজী বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল আলম বকুল ওই এলাকার নুরুল ইসলাম মুছার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ছোট ভাই আহত রাজুর স্ত্রী নাসরিন আকতার লিজা সাংবাদিকদের  বলেন, নিহত ভাসুর প্রকৌশলী হলেও চট্টগ্রাম শহরে থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। ভাইদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে। শান্ত প্রকৃতির ছিল তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে উনার উপর দেবর দিদার আলম, নাজিম উদ্দীন এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ দিতে থাকে। একই সাথে আমার শাশুড়ি শাহিদা বেগম, আমার ননদ (নিহতের বোন) মুন্নি আক্তার লাঠিসোঁটা দিয়ে মারতে থাকে। সবাই মিলে আমার চোখের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও লাঠির আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এ সময় আমি ও আমার স্বামী এগিয়ে গেলে লাঠি দিয়ে স্বামীকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার ভাসুরের প্রাইভেটকার ভাংচুর করে তারা। পরে আহত অবস্থায় আমার স্বামী রাজু পাড়ার লোকজনকে নিয়ে গুরুতর আহত ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ভাসুরকে মৃত ঘোষণা করেন। 

প্রতিবেশী প্রকৌশলী ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আমার কলেজের জুনিয়র ভাই ছিল প্রকৌশলী বকুল। জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। সেই এলাকায় সর্বজন ভালো মানুষ  হিসাবে পরিচিত ছিল। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ভাই, মা ও বোনের ধারালো দায়েরকোপ ও লাঠির আঘাতে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় তৈয়ারী দা, কুড়াল, লাঠিসোঁটা ও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নিহত নুরুল আলম বকুল ও আহতের ভাই রাজু আহমেদের মাতা শাহিদা বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন নুরুল ইসলাম মুছাকে। মুছা-শাহিদার সংসারে আরও জম্ম হয় পাঁচ ছেলে মেয়ে। শাহিদার দুই সংসারে মোট সাত ছেলে মেয়ে। আগের সংসারের দুই ছেলেও পিতৃ পরিচয় নুরুল ইসলাম মুছা। জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক সার্টিফিকেটেও পিতার নাম দেখা যায় নুরুল ইসলাম মুছা। আগের পিতার নাম বা পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে