কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে সংগঠিত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত শনিবার উপজেলা হল মিলনায়তনে শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়। সেই বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, পৌর বিএনপির সভাপতি এহেসান কুফিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সম্বনয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, কৈলাগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম পৌর বিএনপির নেতা জহিরুজ্জামান। শালিস বৈঠকে অংশ্য নেওয়া পক্ষে বিপক্ষে বিশদ আলোচনা হয়। এই আলোচনা হতে তদন্ত করার জন্য পৌর এলাকা থেকে ৫ জন, কৈলাগ ইউনিয়ন থেকে ৫ জন ও বিশিষ্ট নিরপেক্ষ ৫ জন কে করে মোট ১৫ জন নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদান্ত হয়। এই বিষয়ে আলোচনার সবি শেষে সবিধামত সময়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুনরায় বৈঠকে বসবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। কাউকে বাজিতপুর বাজারে ঝগড়ার উদ্দেশ্যে যেকোন ধরনের অস্ত্র নিয়ে ঘুরে ফেরা করতে দেখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী আদেশে দুই বছরের জেল দিতে পারবেন। এবং সমস্ত বাজারে সি.সি ক্যামেরা আওতায় আনার জন্য সিদ্বান্ত হয়। এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় শেষ হয়নি। স্থানীয়দের দাবী যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ভাবে মিমাংসার স্বার্থে বাজিতপুর বাজার কে নিরাপদ রাখার জন্য জোড় দাবী জানান। অন্য দিকে গত ২৮ ও ২৯ শে মার্চ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন, পৌরসভার মথুরাপুর, দড়িঘাগটিয়া ও পৈলনপুর জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১২-১৩টি দোকান ভাংচুর, লুট-পাট হয়। পুলিশ এই ঘটনায় ১৩জন কে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে চালান দেয়। আর্মি, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ত্রনে আনেন। সংঘর্ষে ঘটনায় বাজিতপুর বাজার ব্যবসায়ীরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এই ঘটনায় পক্ষে বিপক্ষের অভিযোগ ও মামলা হয়।