নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রবিউস সারোয়ারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রি । আজ বুধবার দুপুরের খাবার পর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একেই গ্রামের পাত্রের(১৮) সাথে বিয়ে দেয়ার কথা ছিল। মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন,২০১৭ এর ৮ ধারা লঙ্গণে ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার পুলিশ নিয়ে হাজির হন। বিয়ে বাড়িতে বর পক্ষ আসতে দেরি হওয়ায় বিয়েতে আসা কনে পক্ষের লোকজন যখন খাওয়া-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত তখনও বরপক্ষের লোকজন আসেনি । শিক্ষার্থীর হাতে মেহেদি-গহেনা,পড়ুনে লাল বেনারশী শাড়ি বিয়ে প্রস্তুতি চলছে ঠিক এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার উপস্থিত হন কনের বাড়িতে। কনে এবং বর পক্ষের অভিভাবক দুইজনকেই ডেকে উপস্থিত করে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে তাদের ধারনা দেন এবং বাল্য বিবাহ নিরোধের জন্য ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ কার্যক্রম স্থগিত রাখবে মর্মে মুচলেকা নিয়ে বন্ধ করেন বাল্য বিয়ে। ফলে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পাত্র-পাত্রী দু‘জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হয়নি। তাই কন্যার পিতা ও বরের পিতাকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন,২০১৭ এর ৮ ধারা লঙ্গণে ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এসময় এলাকার গণ্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।