নওগাঁর পত্নীতলাসহ আশেপাশের উপজেলায় গত সোমবার থেকে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও বিকেল থেকে কুয়াশা ও শীতের দাপট বাড়তে থাকে। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিনভর সুর্যের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাট-বাজার ও রাস্তাঘাট ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। শীত নিবারণের জন্য অনেককেই ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার দুুপুরে উপজেলার পৌর সদর নজিপুর বাসষ্ট্যান্ডে ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে এলে কথা হয়- শিউলি খাতুন, আবু রায়হান, সাদেকুলসহ আরো কয়েকজন ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষের সাথে। তাঁরা জানান, বর্তমানে তাঁরা মাঠের আমন ধান কাটা ও ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত আছেন। ধান বিক্রয় বা মজুরীর টাকা দিয়ে তাঁর নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম পোষাক ক্রয় করার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু হঠাৎই সোমবার থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাঁরা না পারছেন শীতের পোষাক ক্রয় করতে আর না পারছেন শীত থেকে নিজেদের সুরক্ষা দিতে। এদিকে জেঁকে বসা শীতে পত্নীতলায় দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ অসহায় হয়ে পড়লেও উপজেলা প্রশাসনসহ কোন প্রতিষ্ঠান শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলীমুজ্জামান মিলন বলেন,এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই শীতার্ত মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে। বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বদলগাছীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.১ ডিগ্রী। রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।