গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধুলার মধ্যদিয়ে দুর্গাপুরে বর্ষবরণ

এফএনএস (এস.এম রফিকুল ইসলাম; দুর্গাপুর, নেত্রকোনা) : : | প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধুলার মধ্যদিয়ে দুর্গাপুরে বর্ষবরণ

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধুলা গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। বছরের পর বছর গেলেও আর দেখা পিলেনা তেমন। তবে এবার ব্যক্তি উদ্যোগে আয়োজন। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো উৎসব-তেল মাখানো কলা গাছে আরোহণ-হাডুডু,পাতিলভাঙ্গা খেলা।

গেল সোমবার বিকেলে তেরীবাজার এলাকার সোমেশ্বরী নদীর বালুর চরে এই আয়োজন করা হয়। উপজেলার অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমায় সেখানে। আয়োজকেরা হলেন, ঘুড়ি উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক মড়ল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খেলা দেখতে শিশু থেকে শুরু করে নানান শ্রেণী পেশার কয়েকহাজার মানুষের ভীড় সেখানে। ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো জমে ওঠে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব, তৈলাক্ত কলা গাছে আরোহণ ও হাডুডু,পাতিল ভাঙ্গা খেলার মধ্য দিয়ে। খেলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। খেলা শেষে সন্ধায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা মোঃ মেহের উল্লাহ বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এই খেলাগুলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। আজকে এই খেলার আয়োজনের খবর শুনে প্রায় ১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম। শিউলি আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ২২ বছর আমার বয়স। আমার জন্মের পর আমি এই খেলা গুলো দেখেনি। এই প্রথম আমি এইসব ঐতিহ্যবাহী খেলা নিজ চোখে দেখে খুব আনন্দ পেলাম। নতুন প্রজন্মের জন্য এসব খেলা টিকিয়ে রাখা দরকার।

চন্ডিগড় গ্রাম থেকে আসা হাডুডু খেলায় প্রতিযোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে শেষবার এই ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা খেলেছিলাম এরপর আর কখনও খেলা হয়নি। এখানকার সময়ে আমাদের সন্তানেরা এই খেলা সম্পর্কে কিছুই জানে না। এতো বছর পর এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

এই উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো যেন না হারিয়ে যায় এজন্য নিজ উদ্যোগে খেলার আয়োজন করেছি।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বার্ণাঢ্য এক আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ মেলার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ পালন করা হয়েছে। তাছাড়াও স্থানীয় সাহিত্য সংগঠন পথ পাঠাগারের আয়োজনে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাংকন ও ঘুড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবারের নববর্ষে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে