পাঁচবিবিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১

এফএনএস (মোঃ আব্দুল হাই; পাঁচবিবি, জয়পুর হাট) : : | প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
পাঁচবিবিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা। বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে একজনকে বিদেশী পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ এসে তাঁকে মুমূর্ষবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাত সোয়া দশটায় বাংলা নববর্ষের দিন পাঁচবিবি সুপার মার্কেটের নিউ গার্মেন্টস নামে একটি দোকানের সামনে এ হামলা ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পিস্তলসহ আটক ব্যক্তি ফরিদপুরের সদর উপজেলার কুষ্টপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে কোয়েল (২৮) বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন পাঁচবিবি সুপার মার্কেটের নিউ গার্মেন্টস নামে একটি দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত সোয়া দশটার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে ছয় জন অপরিচিত ব্যক্তি সেখানে আসে এবং ছাত্রদল সাবেক নেতা শামীম হোসেনর উপর অতর্কীত হামলা চালায়। শামীম হোসেন নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা শামিম হোসেনকে লক্ষ করে ৩-৪ রাউন্ড গুলি করলে, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শামিম হোসেনের চিৎকার ও গুলির শব্দ পেয়ে লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসী ছয়জন ব্যক্তি দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত রেলগেটের দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে রাঁখি হোটেলের সামনে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লেগে সন্ত্রাসী তিন ব্যক্তি পড়ে যায়। তাঁরা মোটরসাইকেল ফেলে রেখেই দ্রুত সটকে পড়ে। লোকজন খোঁজাখুঁজির পর রেলগেট এলাকায় একজনকে পিস্তলসহ ধরে ফেলেন। উত্তেজিত লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দেন।  খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে মুমূর্ষবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাতেই সেখান  থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সাবেক ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেন বলেন, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান সাবিকুন নাহার শিখার স্বামী শাহ কামালের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে।

এবিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখার স্বামী শাহ কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

হোয়াটস্যাপে যোগাযোগ করা হলে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা বলেন, আমরা স্বপরিবারে দেশের বাহিরে আছি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে শামীমের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীমের ওপর হামলা হয়েছিল। বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে