১৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অনেক বছর ধরে একের পর এক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। ঝরে যাচ্ছে শত শত তাজা প্রাণ। এর মূল কারণ, সরু ও সংস্কারহীন সড়ক। যা ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে। গত ঈদের তিন দিনে ঝরে গেছে ১৭ প্রাণ।
এ অবস্থার অবসানের লক্ষ্যে ১৬ এপ্রিল বুধবার সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সাথে সহযোদ্ধাদের নিয়ে একটি সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুহাম্মদ আবু সাদেক কায়েম ওরফে সালমান। বৈঠকে সড়কের দুরবস্থার বিষয়ে উপদেষ্ঠা মহোদয়কে অবহিত করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে ত্রুটিপূর্ণ নকশা এবং সরু পথ সংস্কার করে এই সড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার জোর দাবি জানানো হয়েছে বলে আবু সাদেক কায়েম জানিয়েছেন।
মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় সমন্বয়ক কতৃক প্রদত্ত প্রস্তাবনার আলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংস্কার ও ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং জুলাই বিপ্লবের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড আবু সাদেক কায়েমের বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার আনু ফকির দোকান এলাকায়।
আন্দোলন চলাকালে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।