বিএনপির কিছু বড় পদধারী এবং স্থানীয় নেতাদের কারণেই সানাউল্লাহ নূর বাবু’র খুনীদের বিচার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তার সহধর্মিণী বিএনপি নেত্রী মহুয়া নুর কচি। তিনি দাবি করেন, আওয়ামীলীগের যেসব নেতারা দিনের বেলায় শ’ শ’ মানুষের সামনে বাবুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, বিএনপির এসব পদধারী নেতারা ৫ আগষ্টের পরে তাদেরকে প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এমনকি তারা আসামীদের সাথে যোগসাজশ করে মামলাকে ভিন্ন খাতে নেয়ারও চেষ্টা করছেন।
তিনি বুধবার সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লাহ নুর বাবুর খুনীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে এসব দাবি করেন। এ সময় তিনি বাবু হত্যা মামলা দ্রুত সম্পন্ন করাসহ খুনীদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে এবং যেসব বিএনপি নেতা আসামীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সানাউল্লাহ নুর বাবুর মেঝো মেয়ে সাদিয়া নূর পরমা, বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক ও বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান টিপু বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহুয়া নুর কচি আরো বলেন, বাবুকে হত্যার পর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নিজে বনপাড়ায় এসে খুনীদের বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বর্তমানে জেলা-উপজেলায় সব মঞ্চেই বাবু হত্যার কথা বলা হয়। বাবুর মৃত্যুর পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কিন্তু নেতারা কেউই আমাদের খোঁজ রাখেন না। ৫ আগষ্টের পরও তারা কেউ খোঁজ নেননি, এমনকি দলীয়ভাবে একটি স্মরণসভাও করেনি নেতারা।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বনপাড়া বাজারে দলীয় কর্মসূচি পালন কালে পৌর বিএনপির সভাপতি ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বনপাড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন বাবুর স্ত্রী।