সাতকানিয়া হতে এক রোহিঙ্গা কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। অপহরণের পর খুন করে লাশ গুমের অভিযোগে নিহতের আপন মামাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল বুধবার সাতকানিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পাঠানি পুলের পূর্ব পাশে গড়লা খালের নিকটবর্তী কৃষি জমি থেকে উদ্ধারকৃত ওই কিশোরের নাম মোহাম্মদ একরাম। সে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ১০ নম্বর ক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের মোহাম্মদ ইদরিছের পুত্র।
অপহরণপূর্বক হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা যুবকের নাম কামাল উদ্দিন। সেও উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের পুত্র। সে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের একটি ইটভাটার শ্রমিক। হত্যাকারী সন্দেহে আটক যুবক এবং নিহত কিশোর পরস্পর মামা - ভাগ্নে।
নিহত একরামের বড় চাচা মোহাম্মদ ইউনুস জানান, "আমার ছোট ভাইয়ের শ্যালক মোহাম্মদ কামাল ৩ এপ্রিল আমার ভাতিজা একরামকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফোনে জানিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে কামাল। ১৪ এপ্রিল রাতে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে একরামের পিতা ইদরিছ। অভিযোগের প্রক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ একই রাতে কামালকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে একরামকে অপহরণ এবং খুনের কথা স্বীকার করে। কামালের দেখানো মতে সাতকানিয়ার স্পট হতে একরামের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম জানান, আটককৃত কামালের দেয়া তথ্য মতে উখিয়া এবং সাতকানিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে নিহত কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি উখিয়া থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।