একজন আবদুল্লাহ আল মামুন। যিনি কোম্পানীগঞ্জে মামুন নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন অনেক আগেই। বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন ওই নন্দিত নেতা। কিন্তু সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন গোটা উপজেলায়। এজন্য তাঁর জনপ্রিয়তার মাত্রা বেড়েই চলছে। তিনি বিএনপি থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন। প্রস্তুতিও নিচ্ছেন জোরালোভাবেই। দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন- এই নেতা নির্বাচিত হলে জনগণের বহু কাঙ্খিত স্বপ্নগুলো পূরণ হবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এই সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বহুবার। এজন্য অগণিত মামলা-হামলারও শিকার হয়েছেন। ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় তিনি জেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁর পিতা মারা গেছেন। মৃত্যুর সময়ে পিতার পাশে কিংবা জানাজায়ও তিনি থাকতে পারেননি। এই মানসিক কষ্ট তিনি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু জেল, মামলা-হামলা যাই হোক; তিনি দলের হাল ছেড়ে দেননি। বরং দলের সকল কেন্দ্রীয় কর্মসূচীগুলোতে তিনি কোম্পানীগঞ্জে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কর্মীদের পাশে ছিলেন। বিগত ১৭ বছরে দিন-রাত পুলিশ তাকে তাড়া করলেও দলীয় কাজগুলো থেকে মোটেও বিরত হননি। সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এর আস্থাভাজন এই নেতা জেলা-উপজেলার সবখানেই দলীয় কর্মসূচীতে পূর্বেও ছিলেন; এখনো আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি মাঠে সর্বাত্বক কাজ করছেন। যার ফলে দলের অনেকেই তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। কারণ হিসেবে অনেক নেতা-কর্মীই বলছেন- আবদুল্লাহ আল মামুনের দলের জন্য অসংখ্য ত্যাগ আছে। তিনিই একজন যোগ্য প্রার্থী। এক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নে দল ভুল করলে নেতা-কর্মীরাও দলের প্রতি আস্থা হারাবেন। ওদিকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং বসুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই দলীয় নেতা-কর্মীরা দলের এই নেতাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছেন। পাড়ায়- পাড়ায় তাকে নিয়ে সাধারণ ভোটারগণও অনেকটা আশাবাদী। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই নেতার অবস্থান। শুধু সবাই নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বুধবার রাতে আবদুল্লাহ আল মামুন এই প্রতিনিধিকে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অতীতে অনেক আন্দোলন- সংগ্রাম করেছেন। এরপর ছাত্র-জনতাও রাজপথে লড়াই করেছেন। ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন; তাদের সবাইকে মহান রব জান্নাতবাসী করুন। আগামীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের অনেকেই আমাকে চাচ্ছেন। এজন্য আমিও সম্মত হয়েছি। পরবর্তীতে দলীয় ফোরামে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমি নির্বাচিত হলে একজন সেবক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়ন করবো। একটি আধুনিক পরিছন্ন উপজেলা সবাইকে উপহার দিব। এখন যেভাবে দল এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করছি আগামীতেও করবো ইনশাআল্লাহ। এখন শুধু সবার দোয়া-ভালোবাসা চাই।