পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সদরে দিনের বেলায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাত দল উপজেলার মহিলা কলেজ এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুয়েত প্রবাসী শাহাদাৎ চাপরাশীর বাড়ীতে ডাকাতি করে নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ৬ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। স্থানীয়রা সেলীম বেপারী (৫৫) নামে একজনকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সেলিম মাদারীপুর জেলার কুনিয়া গ্রামের ইস্কান্দার বেপারীর ছেলে। ানয প্রবাসীর স্ত্রী শ্যামলী বেগম জানান, বাসা তালা দিয়ে তিনি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গেলে মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে ৫-৬ জনের একদল ডাকাত দরজার হ্যাজবল কেটে ভেতরে ঢুকে আলমারী ভেঙে নগদ ৩ লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। ডাকাতদল বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় পাশের ফ্লাটে থাকা শ্যামলীর বড় বোন স্কুল শিক্ষক কাকলির সামনে পড়লে সে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে সেলীম বেপারী নামে এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ভান্ডারিয়া থানার এসআই জাফরুল জানান, ধৃত সেলীম বেপারী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এক নারীসহ তার সঙ্গে আরও ৪ ব্যক্তি ছিল। তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে। উল্লেখ্য ৭ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে উপজেলা টিএন্ডটি সড়ক থেকে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন খান, চাকুরীচ্যুত পুলিশ সদস্য মো. শেখ ফরিদ ও শিপন আলী সোহেল নামে ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এরা র্যাব সেজে ডাকাতি করত এবং সবাই আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের সদস্য।