বেগমগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের ত্রাস বহু অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের হোতা টিটু বাহিনীর প্রধান হানিফ টিটুকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একটি এলজি ও গুলির খোসা সহ গ্রেফতার করেছে। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে একাব্বরপুর নুরুল আমিন এর চা দোকান থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছয়ানী-চন্দ্রগঞ্জ সড়কের সাদার বাড়ীর সামনে থেকে নুরুল আমিন মধুর দোকান থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে একাব্বরপুর থেকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন সহ বহু অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের প্রধান নুরুল আমিন মধুর পুত্র হানিফ টিটু (৩২) কে এলজি ও গুলির খোসা সহ গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর এলাকায় এসে আলাইয়ারপুর, ছয়ানী, আমানউল্যাপুর, চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, লুটপাট, অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা সহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার গ্রেফতারের খবর পেয়ে বেগমগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। কেউ কেউ নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করেছে। ০৪ নং আলাইয়ারপুর পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, সন্ত্রাসী টিটু অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছে শুনেছি। কয়দিন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেটা দেখতে হবে। তার অত্যাচারে অত্র অঞ্চলের মানুষ সবসময় আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হতো। কোন ভাবে জামিনে বের হতে পারলে চাঁদাবাজি, অপহরণ, লুটপাট, নারী নির্যাতন আবার শুরু করবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা বলেন, তার কারণে দলের যে সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে তা ফিরে পাওয়া যাবে না। সবসময় দলের প্রধান টিটু ও তার সাথে থাকা দুই শতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র্ত্র নিয়ে বেগমগঞ্জের পশ্চিম এলাকায় মানুষের জানমালের ক্ষতি করে আসছে। কোন সন্ত্রাসীর জন্য দল তদবীর করবে না। প্রমান পেলে দল থেকে ঐ তদবীরবাজদেরকে বহিষ্কার করা হবে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার এস আই কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, অনেকদিন ধরে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হানিফ টিটুকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে একাব্বরপুর নুরুল আমিনের চা দোকান থেকে একটি এলজি ও কয়েক রাউন্ড গুলির খোসা সহ যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। তার দলের সদস্যদের ধরতে অভিযান চলতে থাকবে।