পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নির্মান কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তিন প্রকৌশলী ও এক ঠিকাদারকে আসামী করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ডেপুটি এসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (ডিএডি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে রোববার রাত সাড়ে আটটায় এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়।
২১ এপ্রিল রোববার দায়ের করা মামলায় আসামীরা হলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) দুলাল চন্দ্র সরকার, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বজলুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল এবং ওই কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মোঃ নাসির উদ্দিন লিটু। দুদকের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৩১ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নতিকরন প্রকল্পের আওতায় আউটপেসেন্ট ডিপার্টমেন্ট ভবন এবং ১০০০ বর্গফুট ও ৮০০ বর্গফুট মাপের দুটি আবাসিক ভবনের র্যাফট ফাউন্ডেশন নির্মানে অনুমোদিত নক্সা অনুসরণ না করে ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকার কাজ করে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার কাজ দেখিয়ে ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টা ও সরকারী সম্পদ নষ্ট করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় ২০০৮ সালে তৎকালে কনস্ট্রাকশন মেইনটেন্যান্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (সিএমএমইউ) বর্তমানে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাউখালীর ৩১ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নতিকরন প্রকল্পের কাজের জন্য দরপত্র আহবান করে। ওই কাজ পায় ৪ নম্বর আসামীর প্রতিষ্ঠান বরিশালের নূর এন্টাপ্রাইজ। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি মোতাবেক ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী কাজ শেষ করা কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ওই চুক্তি বাতিল হয়। পরে কাজে অনিয়ম ধরা পড়লে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভাগীয় তদন্ত করে অনিয়মের বিষয় নিশ্চিত হয়। বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানকালে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক কাজের প্রকৃত মূল্য নিরুপনে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়ে দুদক ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য ১-৩ নম্বর আসামী তৎকালে পিরোজপুরে কর্মরত ছিল।