বাবা কিংবদন্তি, মা অজানা— রহস্যে মোড়া রোনালদোর ছেলের জন্মকাহিনি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
বাবা কিংবদন্তি, মা অজানা— রহস্যে মোড়া রোনালদোর ছেলের জন্মকাহিনি

ফুটবল বিশ্বে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাফল্যগাথা যেন শেষই হচ্ছে না। এখনো মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন, আর সামনে তাকিয়ে আছেন এক হাজার গোলের মাইলফলকের দিকে। তবে মাঠের বাইরেও রোনালদোকে ঘিরে যে আরেক রহস্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায়, তা হলো—তার বড় ছেলে রোনালদো জুনিয়রের মায়ের পরিচয়।

১৪ বছর বয়সেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে উঠেছে রোনালদো জুনিয়র। বাবার ছায়া ধরে তার ফুটবল ক্যারিয়ারও এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে সৌদি আরবের আল নাসর অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলছেন তিনি। তার খেলোয়াড়ি প্রতিভা দেখে অনেকে বলছেন, ভবিষ্যতে বাবার রাজত্বই হয়তো টিকিয়ে রাখবে এই কিশোর।

তবে তার জন্মকাহিনিই যেন সবচেয়ে রহস্যময় অধ্যায়। ২০১০ সালের ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া রোনালদো জুনিয়রের মায়ের পরিচয় আজও অজানা। জন্মের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদো ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘বাচ্চার মায়ের চাওয়ায় এবং দুই পক্ষের সম্মতিতে তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।’

সেই থেকে কেটে গেছে প্রায় দেড় দশক, কিন্তু রহস্য কাটেনি। রোনালদো তার ছেলেকে সেই সত্য জানিয়েছেন কি না, সেটিও জানা যায়নি। তবে ২০১৫ সালে ব্রিটিশ টক শো দ্য জোনাথন রস শো-তে রোনালদো বলেছিলেন, “ক্রিশ্চিয়ানো যখন বড় হবে, তখন আমি তাকে অবশ্যই সত্যটা জানাব। কারণ সে আমার ছেলে এবং এটা তার প্রাপ্য।”

রোনালদো জুনিয়রের বয়স এখন ১৪। ২০২4 সালের জুনে তার ১৫তম জন্মদিন। অনেকে মনে করছেন, এবার হয়তো জানা যাবে সেই বহু প্রতীক্ষিত সত্য—কে এই কিশোরের জন্মদাত্রী?

এই কিশোর এখন পাঁচ ভাইবোনের বড় ভাই। ২০১৭ সালে সারোগেট মাদারের মাধ্যমে যমজ এভা ও মাতেও-এর জন্ম হয়। এরপর জর্জিনা রদ্রিগেজের গর্ভে জন্ম নেয় অ্যালানা। ২০২২ সালে আসে আরও দুই যমজ—বেলা ও অ্যাঞ্জেল। তবে দুঃখজনকভাবে, অ্যাঞ্জেল জন্মের পরপরই মারা যায়। বাকিরা সবাই একসঙ্গে বড় হচ্ছে। জর্জিনাকে রোনালদো জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরেই ‘মা’ বলে ডাকে এবং মা হিসেবেই মানে।

রোনালদো সব সময় চেষ্টা করেছেন তার সন্তানদের নিরাপদ, নির্ভর ও ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশে বড় করতে। তবে রোনালদো জুনিয়রের জন্ম নিয়ে যে প্রশ্ন এখনো ধোঁয়াশায় ঘেরা, সেটি কেবল সময়ই খুলে দিতে পারে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে