কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামকে মারধর ও চাঁদাবাজি. লুটতরাজ, খুন-জখমের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা শ্রমিকদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর এলাকার হাপানিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাস মালিক নজরুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই মিথ্যাচার করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার দুইটি বাস পাকুন্দিয়া-মনোহরদী-ঢাকা সায়দাবাদ সড়কে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক চালিয়েছে। তিনি চাঁদাবাজি করে পাকুন্দিয়া বাসষ্ট্যান্ডটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাস মালিক সমিতি আমাকে তিনশত টাকার জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করে দুই বছরের জন্য বাসষ্ট্যান্ড পরিচালনায় দায়িত্ব দিয়েছেন। এর পরই নজরুল ইসলাম বাসষ্ট্যান্ডের অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয় এই বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাস চালাতে হলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে দাবী করেছে। তা না হলে এখান থেকে কোন বাস চলতে পারবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা শ্রমিক দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, খুন-জখমের হুমকি ও মারধরের অভিযোগ আনেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি রয়েল পরিবহন নামের দুইটি যাত্রীবাহী বাসের মালিক। দীর্ঘ পাঁচ বছর বাস দুটি পাকুন্দিয়ার হাপানিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে ঢাকার সায়দাবাদ বাসষ্ট্যান্ডে নিয়মিত পরিচালনা করে আসছি। কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু তিন মাস ধরে উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন। এর জেরে ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-২০জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পাকুন্দয়ার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে আমার কাছে ফের দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করেন তারা। এ সময় আমার বাসে ঢুকে একটি অতিরিক্ত চাকা, দুইটি বাসের ব্যাটারী ও দুইটি গাড়ির টুল বক্সের যন্ত্রপাতি লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমাকে খুনসহ বাস পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা। এমতাবস্থায় আমি আমার জীবন নাশের আশংকায় আছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে উপজেলা শ্রমিকদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম হাপানিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।