লাকসামে ইকরা মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাএীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহসপ্রতিবার ছাএীর মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানবন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও নিহত ছাএীর পরিবার। জানা যায় লাকসাম ইকরা মহিলা মাদরাসার আবাসিক ৫ম তলায় থাকা ৭ম শ্রেণির ছাএী নাঙ্গলকোট উপজেলার নাওগোদা গ্রামের প্রবাসি নিজাম উদ্দিনের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৩) রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। মাদরাসার কর্তৃপক্ষ বলছেন রাত আড়াইটায় সামিয়া ৫ম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারিরা তাকে দেখে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তাকে প্রথমে লাকসামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং পরে ঢাকা একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহত ছাএীর পরিবার বলছেন ভিন্ন কথা। নিহত সামিয়ার মা শারমিন আক্তার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তার অভিযোগ সামিয়ার মৃত্যু নিয়ে থাকতে পারে অন্য কোন রহস্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করার দাবি জানান। এদিকে নিহত সামিয়ার লাশ ময়না তদন্ত করার পর দাফন করা হয়েছে। নিহত সামিয়ার মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন। মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জামাল উদ্দিন এই ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন। মাদরাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন নিহত সামিয়ার মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য চেস্টা করছি । অপরদিকে মাদরাসার পরিচালক আবদুল আজিজের জামাতা মাইনুল ইসলাম জাফরী তার ফেইজবুক আইডিতে লেখেন কলেজ ইউনিভার্সিটির ডাষ্টবিন থেকে বেচেঁ যাওয়া নবজাতক গুলো বড় হয়ে সাংবাদিক হয় নতুবা সুশীল নামক কুলাঙ্গার হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ এবং নিহতের পরিবার। তারা ঘটনায় প্রকৃত জড়িত ব্যাক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও নিহত ছাএীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান। উল্লেখ ইকরা মাদরাসার ৫টি শাখা রয়েছে। ৪ জন পরিচালক সমন্বয়ে ইকরা মহিলা মাদরাসা পরিচালিত হয়।