বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরাইল শাখার আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত আলাচনা সভাটি এক সময় জনসভায় পরিণত হয়। নোয়াগাঁও ইউপি শাখার সভাপতি আমির হোসেনের সঞ্চালনায় উপজেলা শাখার সভাপতি এড. মনিরূজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোবারক হোসেন আখন্দ। প্রধান আলোচক ছিলেন নাগাইশ দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা মোশতাক ফয়েজি। বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. এনাম খান ও সরাইল সদর ইউপি শাখার সভাপতি খন্দকার বরকত উল্লাহ খন্দকার মিন্টু প্রমূখ। প্রধান আলাচক বলেন, যখন কোন কাফের শক্তি, বাতিল শক্তি, স্বৈরাচারী সরকার, কোন দূর্নীতিবাজ, লুটেরা, জ্যোৎচুর, কোন বদমাইশ আপনার প্রশংসা করবে তখন বুঝবেন আপনার চেয়ে খারাপ মানুষ আর নেই। দেড় হাজার বছর আগে দু’জাহানের বাদশা নবীজিকে যারা ছেড়ে দেয়নি তারা আপনাকে ছেড়ে দিবে এটা আশা করেন কিভাবে? আপনি নবীর চাইতে বড় বুজুর্গ হয়ে যাননি। মনে রাখবেন রডের বদলে বাঁশ দেয়ার দিন শেষ। সবকিছুর হিসাব দিতে হবে কড়ায় গন্ডায়। কোরআনের পাখিদের নির্মম ভাবে হত্যার জবাবও দিতে হবে। জুলুম করে ক্ষমতা পেয়ে যা মন চাই করেছেন। মানুষের উপর ইচ্ছামত অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। ভালবাসা দরদ মায়ামমতা আপনাদের পদদলিত হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ কিন্তু জুলুম সহ্য করেননি। দ্রƒত দেখিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নবী (স.) এর আদর্শকে ভালবাসে। সেই আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। তাই জামায়ত মনে করে আল্লাহর বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন জরূরী। এ জন্যই ওলামায়ে কেরামরা শুধু মসজিদ, মাদ্রাসা ও মক্তব নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। তারা কাউন্সিলর, মেয়র, এমপি ও মন্ত্রী পদে দায়িত্ব নিয়ে সকল ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সেবা করবেন। সবশেষে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রƒত সুস্থ্যতার আকুতি করে দোয়া করা হয়েছে।