চারদিনের সরকারি সফর শেষে কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের শেষদিনে, ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, তিনি দোহার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। এ বৈঠক দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি রাজনৈতিক বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সফরকালে ড. ইউনূস কাতারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাতারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। এ অঞ্চল কাতারের শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিরক্ষা যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুল রহমান বিন হাসান আল-থানির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ-পরিসেবা উন্নয়নের বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে।
একইদিনে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কাতার-বাংলাদেশ সম্পর্ক শুধু ব্যবসায়িক নয়, বরং কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপ নেবে।
বর্তমানে কাতার তিন বছর অন্তর বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনাসদস্য গ্রহণ করে। এই সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও তিনি কাতার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সফরের অংশ হিসেবে তিনি “একটি রূপান্তরিত বিশ্বে যুব নেতৃত্বকে শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক একটি ফায়ারসাইড চ্যাটে অংশ নেন। এটি আয়োজন করে ‘মিডল ইস্ট কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স’ এবং পরিচালনায় ছিলেন জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্রী হানা এলশেহাবি। চ্যাটটি অনুষ্ঠিত হয় দোহার ‘সামিট ভিলেজে’। এখানে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাপী সামাজিক পরিবর্তনে যুব নেতৃত্বের সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।