চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছয় দিনের ব্যবধানে ফের দুর্র্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর রাতে হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডের মেখল সড়কের মাথায় গাউছিয়া গ্রোসারিতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ডাকাতদলের গুলিতে শহিদুল ইসলাম সায়েম (২৫) নামের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল উপজেলার ধলই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শরীফ বাড়ির মৃত আবদুল মোতালব শরীফের পুত্র নাজিম উদ্দীন শরীফের বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছিল। এই সময় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের কোপে নাজিম উদ্দীন শরীফ মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এরপূর্বদিন ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম মাস্টারের বাড়ির জনৈক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পাঁচটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তাছাড়া গত ২০ এপ্রিল উপজেলার চারিয়া গ্রাম থেকে এক রাতে ৭টি গরু চুরি হয়ে যায়। হাটহাজারী মডেল থানা থেকে দেড় হাজার গজ দূরে গতকাল শনিবার ভোর রাতে পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডের মেখল সড়কে ডাকাতি ও ডাকতের গুলিতে সেনা সদস্যের আহতের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছি। ডাকাতির সংবাদ পেয়ে গতকাল শনিবার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।গুলিতে আহত সেনা সদস্যকে তাৎক্ষণিক পৌরসভার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। সেখানে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সশস্ত্র ডাকাতদল দোকান থেকে নগদ অর্থ দামি সিগারেট ও মূল্যবান মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ডাকাত কবলিত দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ভোর রাতে উল্লেখিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ করার সময় ৪ জন মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দোকানের মালিক রাসেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুইটি ক্যাশ বাক্সের নগদ টাকা ও দামি সিগারেটসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বাসার সিসি ক্যামেরায় এ দৃশ্য দেখে সেনা সদস্য সায়েম (ছোট ভাই) বাসা থেকে দৌঁড়ে দোকানে আসা মাত্র দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে শহিদুল ইসলাম সায়েম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হোসেন, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি প্রটোকলে ডিউটি আছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। পর পর ডাকাতি ও গরু চুরির ঘটনায় এলাকার জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।