ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের সরাইলের তিন দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে তীব্র যানজট। আজ বুধবার বিকাল ২ টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত যানজট অব্যাহত ছিল। চরম দূর্ভোগ আর কষ্টে নাকাল হয়ে পড়েছেন দূর দূরান্তের যাত্রী চালক ও পথচারিরা। চলমান ছয় লেন ও ৪ লেনের কাজের কারণে মহাসড়কে ধূলার রাজত্ব মানুষের কষ্ট বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সরজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগিরা জানায়, এমনিতেই সাধারণত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মহাসড়কের এই জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আজ বুধবার বিএনপি'র পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি আখাউড়ায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভারতের আগ্রাসী মনোবৃত্তির প্রতিবাদে লংমার্চ। সেই লংমার্চে যোগ দিতে ভৈরব, আশুগঞ্জ, মাধবপুর, সরাইলের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন ধরণের যানবাহন রিজার্ভ করে রওনা দিচ্ছে। ফলে বিকাল ২টার পর থেকেই কুমিল্লা- সিলেট, সিলেট- ময়মনসিংহ, ঢাকা- সিলেট, সিলেট- ময়মনসিংহ ও ময়মনসিংহ -কুমিল্লা সড়ক অংশের আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইলের শাহবাজপুর পর্যন্ত তিন দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে কোন ভাবেই যানজট কমছে না। বরং বেড়েই চলেছে। ফলে অনেক যাত্রী গাড়িতে ৫/৪/৩/২ ঘন্টা ধরে বসে আছেন। খাবারের কষ্ট করছে শিশু ও নারী যাত্রীরা। মাঝে মধ্যে আটকে পড়ছে রোগী বহনকারী এম্বোলেন্স। তবে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা বিকাল ১টা থেকেই যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করছেন। সিলেট একাধিক যাত্রী বলেন, আমরা সপ্তাহে ২/১ বার বাড়িতে যায়। যাওয়া আসার পথে মহাসড়কের এই অংশে দেড়/দুই বছর ধরে প্রায়ই জ্যামে পড়ছি। অনেক সময় লাশের জানাযা ও দাফন থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের কোন ব্যবস্থা আছে কিনা জানি না।