রাজশাহীর বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এনামুল হক সরকার (৩৪) ওরফে পাইপ এনামুল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সকালে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এনামুল হক দেউলা গ্রামের ফজলুর রহমান ওরফে ডালিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, গত জুলাই- আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, পাইপ সরবরাহ করেন। বাবার সঙ্গে পাইপের ব্যবসার কারণে এলাকায় তিনি পাইপ এনামুল হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও আন্দোলন দমাতে পাইপ সরবরাহ করায় তিনি আলোচনায় আসেন। বাগমারা থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে এনামুল হক সরকার ওরফে পাইপ এনামুলকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় ছাত্র ও জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে একদল তরুণ লোহার পাইপ নিয়ে গত ১৮ জুলাই ও ৫ আগস্ট ভবানীগঞ্জ বাজারে মহড়া দেয়। কিছু স্থানে হামলাও করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে লোহার পাইপ নিয়ে মহড়া দেওয়া এবং ছাত্রদের ধাওয়া করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ৫ আগস্টের পর ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়ে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ভিডিওতে অন্যদের সঙ্গে এনামুল হককে গায়ে সাদা রঙের বিশেষ টি শার্ট পরে লোহার পাইপ নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। গত ১৮ জুলাইয়েও তিনি একইভাবে মহড়া দিয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এসময় ভবানীগঞ্জ বাজারের তাঁর একটি দোকানঘরে তালা দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকদিন আগে এলাকায় ফিরলেও সর্তকতার সঙ্গে চলাফেরা করছিলেন। এই অবস্থায় তিনি গ্রেপ্তার হলেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর ছোটমায়ের একটি দোকানঘর দখলের অভিযোগ ওঠে। বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।