প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ মিছিল

বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের ২ মামলায় জামিন নামঞ্জুর

এফএনএস (আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের ২ মামলায় জামিন নামঞ্জুর

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এরই প্রতিবাদে তাŤক্ষনিকভাবে  নীলফামারীতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ পালন করে। ডোমার পৌর বিএনপি’র সভপাতি আনিছুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোজাফফর আলীর নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রেলঘুন্টি মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সুত্র মতে, আজ মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কিছু সময় পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ মামলাতেও তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নীলফামারী জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরীকে নীলফামারী জেলার উন্নয়নের রুপকার হিসাবে জেলাবাসীর কাছে পরিচিত। ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় এ জেলায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেন। তিনি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) মহাসচিব। যার সভাপতি ছিলেন, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ১/১১ সরকারের দুদক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে তার বিরুদ্ধে সে সময় কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর ফলে ২০০৭ সালে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাস জীবন কাটান তিনি। এ সময় তার স্ত্রী প্রবাসে মারা গেলেও তিনি দেশে এসে দাফন কাফনে অংশ নিতে পারেন নি। জুলাই গন-অভ্যুথ্বানের পর ২২ শে এপ্রিল দেশে আসেন তিনি। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় ৩ বছর ও ৫ বছরসহ মোট ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আজ মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে