পিরোজপুরে মৎস্যজীবীদের মাঝে গরু বিতরনে অনিয়ম

এফএনএস (মোঃ রেজাউল ইসলাম শামীম; পিরোজপুর) : | প্রকাশ: ১ মে, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
পিরোজপুরে মৎস্যজীবীদের  মাঝে গরু বিতরনে অনিয়ম

পিরোজপুরের নাজিরপুরে “দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর (গরু) বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও গরুগুলোর আকার ও ওজন সরকার নির্ধারিত মানের না হওয়ায় পন্ড হয়ে যায়। পরে দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বি প্রজেক্ট চলে যাওয়ার কথা বলে গরুগুলো স্থানীয় জেলেদেও মধ্যে বিতরণ করে। এসময় মৎস্য কর্মকর্তা মো: সারোয়ার হোসেন ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা: মো: আল মুক্তাদির রাব্বি উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, উপজেলায় ৭০ জন দরিদ্র মৎস্যজীবীর মাঝে নীতিমালা অনুয়ায়ী প্রতিটি ৭০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর বিতরণ করার কথা। কিন্তু দেখা গেছে বিতরণকৃত গরুর ওজন ছিল ৪০ থেকে ৪৫ কেজি ওজনের। মৎস্যজীবী লালমিয়া বলেন, একটি গরু পেয়েছি তার ওজন হবে ৪০ থেকে ৪৫ কেজি। ইউএনও সাহেব বলছেন গরু না নিলে এ প্রজেক্ট আর থাকবেনা। তাই নিয়ে গেছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানিয়েছে, গরুগুলো একটারও ওজন ৭০ কেজি নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই নিচ্ছি। ইউএনও স্যার বলছেন, আপনারা গরু নিলে নিবেন, না নিলে প্রকল্প ফেরত যাবে। ইউএনও স্যার বলেছেন, গরুগুলো নেন পরে সমস্যা হলে আমরা সমস্যার সমাধান করবো। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আসাদ বলেন, মেসার্স শ্যাওলা হাসমুরগী খামার এন্ড সাপ্লাই সেন্টারের পক্ষে গরু দিতে এসেছি আমি । গরুগুলো স্থাণীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দেয়া হবে। তারা যাচাই-বাছাই করেই এ গরুগুলো রেখেছে। এনিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: সারোয়ার হোসেনর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনিয়ম থাকলে ঠিকাদারদের মধ্যে আছে। তবে তিনি বলেন প্রত্যেক গরুর ওজন হতে হবে ৭০ কেজি। নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বি ওজনে কম থাকার বিষয়ে বলেন,মাপে ও ওজনে কম থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রাণীসম্পদ ও মৎসকর্মকর্তার উপস্থিতিতে গরুগুলো বিতরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলগীর হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, বকনা বাছুর বিতরণ এ সরকারের একটি অংশ। এখানে প্রতি বকনা বাছুরের ওজন ৭০ কেজি থাকার কথা, তবে ৩০ থেকে ৪০ কেজি আছে । এটা আমরা হতে দিবনা। এটা জণগনের টাকায় কেনা, এটা জনগনের সম্পদ। ৫ আগস্টের পরিবর্তন কোনো লুটের পরিবর্তনের জন্য হয় নাই, আমরা গুনগত পরিবর্তন চাই। প্রকল্প বাতিল হয়ে যাবে যিনি বলছেন উনি বোকার স্বর্গে বাস করেন। প্রয়োজনে ঠিকাদারকে গরু পাল্টিয়ে নতুন গরু দিতে হবে। এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম খান বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম, ইউএনও এর সাথে কথা বলে এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।