বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একই সাথে সংস্কার ও রোডম্যাপ দাবী করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেখান থেকে কিছু নিয়ে থাকলে নিন এবং সংস্কার করুণ এবং ইলেকশনের রোডম্যাপ দেন। ১ মে আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বেবী নাজনীন এসব কথা বলেন। তিনি অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সংস্কার করতে চান, সেটার প্রতি আমাদের সম্মান ও ভালবাসা আছে। কিন্তু এই সময়টাকে ধরে রাখার যে বিশ্বাস, তা আপদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে। বেবী নাজনীন আরো বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকব। যত বাঁধা আসুক, আমাদেরকে ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। একটি নতুন দেশ গড়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফার সংস্করণ কর্মসূচী দিয়েছে। এর মধ্যেই সব ধরণের রাষ্ট্র সংস্কার খুঁজে পাবেন। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া জেল-জুলুম উপেক্ষা করে দেশে থেকেছেন। তিনি দেশ থেকে পালাননি। বিএনপির কোন নেতা-কর্মীও পালায়নি। আমাদের তো পালাবার যায়গা নেই। পালাতে গেলে বঙ্গপোসাগরে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের তো আর সাধ্য নেই যে, ইন্ডিয়া কিংবা বিদেশের বাড়ীতে থাকব। সেজন্যই বুকে পাথর বেঁধে সব কিছুই উপেক্ষা করে ধান খেতে কিংবা জঙ্গলে কাটাতে হয়েছে নেতা-কর্মীদের। দাজ্জাল শেখ হাসিনার সরকার, আমার নেতা তারেক রহমান সহ অনেক পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের জোর করে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদেরই দেশ থেকে পালাতে হলো। তিনি আরো বলেন, বিএনপি আগে ভোট চায় না, আগে ইলেকশন চায়। ইলেকশন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয় না। যে দলের জবাবদিহিতা এবং গ্রহনযোগ্যতা থাকে, তাকে ভোটের মাধ্যমে জনগন তাদের সরকারে নিয়ে আসতে পারে। বিএনপি চাচ্ছে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। যাকে খুশি, জনগন তাকে ভোট দিবে। বয়স পূর্ণ হলেও আগামী প্রজন্ম দীর্ঘদিন ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনবান্ধব সরকার কায়েম করুন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম,এ, লিটন পারভেজ, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লাল, সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শিপু প্রমুখ। পরে বেবী নাজনীনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী উপজেলার প্রানকেন্দ্রের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এসময় পথচারীরা মূহুর্মূহু করতালি দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে।