বিরলে সীমান্তে ২ কৃষককে নিয়ে গেছে বিএসএফ

এফএনএস (মোঃ আতিউর রহমান; বিরল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ২ মে, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
বিরলে সীমান্তে ২ কৃষককে নিয়ে গেছে বিএসএফ

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ধর্মজৈন বিওপি এলাকায় ফসলের মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই কাজ করার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ২ বাংলাদেশী কৃষককে আটক করে নিয়ে গেছে। আটককৃতদের ফেরৎ নিতে বিজিবি দুই দফা চিঠি দিয়েছে বিএসএফকে। আটকের প্রায় ৬ ঘন্টা পরও বিএসএফ এর পক্ষ হতে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজিবি বলছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শুক্রবার আনুমানিক সকাল ১১ টায় মেইন পিলার ৩২০ এর সাব ৯ নং পিলারের নিকট ধর্মজৈন কাড়োলিয়াপাড়া গ্রামের মৃত রফিক এর ছেলে রিয়াজুল এর ধানক্ষেতে ধান কাটার সময় বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন (কাড়োলিয়াপাড়া) গ্রামের মৃত এনামুল হক এর ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৪) ও ধর্মজৈন (ভূটিয়াবন) গ্রামের ইসরাইল হোসেন এর ছেলে এনামুল হক (৫৭) কে তাঁরকাটার বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে বিএসএফ সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় ধান কাটা ও মাড়াই কাজে নিয়োজিত অন্যান্য শ্রমিকরা ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে এসে গ্রামবাসীকে সংবাদ দেয়।

সংবাদ পেয়ে পাশেই উত্তর দিকে বাংলাদেশের সেচ যন্ত্রে পানি পান করতে আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার অন্তপুর গ্রামের লুধু সরেন এর ছেলে ফিলিপ সরেন (৩৫) ও সরেন টুডু এর ছেলে অবিনাশ টুডু (৩২)কে স্থানীয় জনতা আটক করে রাখে। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলামকে বিয়ষটি অবগত করলে তিনি ধর্মজৈন বিওপি’র বিজিবিগণকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেন। আটকৃকৃত ২ বাংলাদেশীর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে স্থানীয় গ্রামবাসী ২ বাংলাদেশীকে ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণতে থাকে।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, ভারতীয়দেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বিজিবি সদস্যদের নিকট হস্তান্তর  করেছেন। আগে সীমান্তে মাদক, চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এর ঘটনায় আটকের বিষয়গুলো ঘটলেও ৫ আগস্টের পর বিএসএফ অনেকটা উগ্র আচরণ করছে। এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সময় কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং কৃষকদের দ্রুত ফেরৎ চাই।  এ বিষয়ে ধর্মজৈন বিওপির নায়েক সুবেদার রেজাউল করিম পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান। 

বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছবুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করেছেন বলে জানান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে