দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় দিন দিন কমছে আবাদী জমি এই কারনে ভূমিহীন কৃষক সংখ্যা বাড়ছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় উপজেলায় ভূমিহীন চাষী রয়েছে ৪ হাজার। আবাদ যোগ্য জমির পরিমান ১৭ হাজার ৫শত ৬ হেক্টর। ইট ভাটার জমির পরিমান ১০ হেক্টর কিন্তু বাস্তবে ৩০ হেক্টরের ও বেশী জমিতে ইট ভাটা রয়েছে। দিন দিন কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারনে অনেক কৃষক ভূমিহীন হয়ে পড়ছে;। অনেকে ফসল ফলিয়ে ফসলের ন্যায মূল্য না পেয়ে লোকসান হওয়ার কারনে সেই লোকসানের ক্ষতি পুরন করতে অনেকে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। এক পর্যায়ে লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে পেটের দায়ে জমি বিক্রি করে দেন। সেই কারনে দিন দিন ভূমিহীনদের সংখ্যা বাড়ছে। অপর দিকে বড় বড় কৃষকেরা অনেকেই শহর মূখী হচ্ছে। কেউ কেউ ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যদের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রি করে শহরে বাড়ী করছেন। আবার কেউ কেউ জমি বিক্রি করে ব্যবসা করছেন আবার বড় কৃষকেরা অনেক সময় নিজের জমি চাষ না করে জমি বর্গা দিচ্ছেন ফলে বড় বড় কৃষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এক সময় কাহারোল উপজেলার নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য শষ্য সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে আবাদী জমি কমায় অদূর ভবিষ্যদে কাহারোল উপজেলা খাদ্য ঘার্তির আসংখ্যা করছেন অনকে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশা পাশি আবাসন ও বেড়েছে। আবাসন সংকট সমাধান, ফসলী জমিতে অবকাঠামো গড়ে উঠা সহ বিভিন্ন কারনে আবাদী জমি কমছে। এছাড়া বড় বড় কৃষকেরাও জমি বিক্রি করে শহর মূখী হচ্ছেন।