চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের সুধী সমাবেশে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য প্রদানে জামায়াত নেতার বাধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও অভ্যুত্থান এক নয়, এটা বলতে গিয়েই বাধার মুখে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম। অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে বসা জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান আঙুল উচিয়ে তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে আসেন। চিৎকার করে জোরপূর্বক বক্তব্য বন্ধ করতে বাধ্য করেন। লতিফুর রহমানের বাধার কারণে বক্তব্য রাখতে পারেন নি তরিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় ছিল উল্লেখ করে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিরুপ আচরণ ও কাটাক্ষের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার মো. আলাউদ্দীনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মো.মোফাজ্জল হক, মো.মনসুর আলী,সৈয়দ মাহতাবুল হক,শওকত আলী,আশরাফ আলী,জয়নাল আবেদিনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।
গত ২৬ এপ্রিল স্থানীয় শহীদ সাটু হলে জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলমকে বক্তব্য দিতে বাধা দেন লতিফুর রহমান। পরে লতিফুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ওই মুক্তিযোদ্ধার প্রসঙ্গ বহির্ভূত বক্তব্য দেয়ার কারণে সুধীসমাবেশে প্রতিবাদ হয়। সেই থামানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।