শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা

এফএনএস (সৌরভ অধিকারী শুভ; শেরপুর, বগুড়া) : : | প্রকাশ: ৩ মে, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা

বগুড়ার শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজে অনুষ্ঠিত অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে।

শনিবার (৩ মে) দুপুর ২টা থেকে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। বেলা ৩ টার দিকে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সেখানে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী পৌছেন। কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাসের গেট ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান তারা। সাংবাদিকরা গেটের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে, পরীক্ষার কারণে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ।

পরে সাংবাদিকরা ফোনে যোগাযোগ করলে ফয়সাল মাহমুদ নামে একজন ব্যক্তি জানান, তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন এবং সাংবাদিকদের পরীক্ষার সময় ভেতরে প্রবেশে অনুমতি নেই। জানা যায়, ফয়সাল মাহমুদ সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষানবিশ) এবং জেলাপ্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষার তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন।

ওই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় তথ্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।”

সাংবাদিকরা প্রায় দেড় ঘণ্টা গেটের বাইরে অপেক্ষা করেন এবং শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, সরকারি কোনো আদেশ বা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কিনা, যার কারণে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হলো।

উত্তরে ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ জানান, “কোনো পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্রেও সংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের অনুমতি থাকে না। এই নিয়োগ পরীক্ষাতেও একই নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এমন কোনো আশঙ্কা আমরা নিতে পারি না। সব প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার পর পাওয়া যাবে।”

এই ঘটনায় শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক সরকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদেরকে তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে।  এহেন ঘটনার নিন্দা জানাই।”

ঘটনার বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, “আমরা সাধারণত তথ্য সংগ্রহের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে কেন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW